খাগড়াছড়ির ঈদের লম্বা ছুটিতে ৯টি উপজেলাতে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকদের সমাগম বেড়েছে

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ঈদের লম্বা ছুটিতে ৯টি উপজেলাতে পর্যটক সমাগম প্রচুর সংখ্যক বেড়েছে। জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলায় পর্যটক সমাগম বেড়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অন্তত: ৬০০ফুট উঁচু এই পর্যটন কেন্দ্রে সকাল থেকে ভিড় দেখা গেছে। ঈদের লম্বা ছুটিতে জেলাতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের প্রধান গন্তব্য এটি।

পর্যটন কেন্দ্রের প্রতিটি পয়েন্টে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। বিশেষত আলুটিলার প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গ ঘুরে বেশি রোমাঞ্চিত হয়েছেন পর্যটকরা।

রাজশাহী থেকে বেড়াতে আসা নিহা রহমান বলেন, আমরা এবার পাহাড়ে ঈদ করেছি। আলুটিলায় আসলাম খুবই ভালো লেগেছে। পুরো পরিবার নিয়ে এসেছি। কাল সাজেক যাব। এরপর রাঙামাটিতে যাব। এত সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র, না আসলে বুঝতে পারতাম না।

আরেক পর্যটক নিশাত ফেরদৌস বলেন, আলুটিলার প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই সুন্দর। এখানে এসে বৃষ্টি উপভোগ করেছি। এর আগেও পাহাড়ে গিয়েছি তবে খাগড়াছড়ি এবার প্রথম ভ্রমণ। খুব ভালো লেগেছে।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে নবনির্মিত ঝুলন্ত সেতু দেখে উচ্ছ¡সিত পর্যটকরা। এছাড়া দুই পাহাড়কে সংযোগকারী ‘লাভ ব্রিজে’ পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। এছাড়া নন্দন পার্ক, কুঞ্জছায়া সবখানেই পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে।

জামালপুর থেকে বেড়াতে আসা মো: শাহীন বলেন, ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা মিলে বেড়াতে আসলাম। খুবই ভালো লাগছে। খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে কাল সাজেকে যাব।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত¡াবধায়ক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি। আজকে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। সকাল থেকে পর্যটকদের সমাগম বাড়ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আরও ৪-৫দিন পর্যটক সমাগম বাড়বে।

এদিকে খাগড়াছড়িতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য ছাড় দিচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। জেলার মিলন পুরের অভিজাত হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আমাদের প্রায় ৫০শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। রুম বুকিংয়ে এবার পর্যটকদের ২০-৩০শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি।

খাগড়াছড়িতে আগত পর্যটকদেও সার্বক্ষনিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশও কাজ করছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো: নাইমুল হক বলেন, প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্রে আমাদের কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়া আছে। কোনো পর্যটক সমস্যায় পড়লে সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে আমরা সহযোগিতা করব। এছাড়া ষ্পর্শ এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।