খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় ঔষধের পরিবর্তে বৃদ্ধকে জুতা পেটা

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলায় আনা মিয়া নামক ৭০ বছর বয়সী এক অসুস্থ বৃদ্ধকে প্রকাশ্য দিবালোকে উম্মুক্ত দোকানের সামনে জুতা পেটা করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীর(৩৫) বিররুদ্ধে। আনা মিয়া আদর্শ গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও মজিবুল হক মাজভান্ডারির অনুসারী বলে জানা গেছে।

গত সোমবার(১৯শে জুন) সকাল ৯টার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডস্থ আদর্শ গ্রামের লাতু লিডার পাড়ার কালা মিয়ার চা দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আনা মিয়া বলেন, আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ঔষধ আনতে দ্রুুত কাশেম মাস্টারের দোকানে যাই। অনেক অনুরোধ করার পরও আমাকে ঔষধ না দেয়ায়, আমি কোন শালার পুতে ঔষধ দিতে নিষেধ করেছে বলে গালি দেই।

এসময় পাশের দোকানে বসে থাকা মোহাম্মদ আলী পেছন থেকে এসে তার পায়ের জুতা খুলে আমাকে মারধর করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
প্রত্যক্ষদর্শী চা দোকানদার কালা মিয়া বলেন, আনুমানিক সকাল ৯টায় উত্তর শান্তিপুর স্কুলের শিক্ষক আবুল কাশেমের মাস্টারের দোকানে আসলে অসুস্থ বৃদ্ধকে ঔষধ দিতে অস্বীকৃতি জানান। আমি ডাক্তারকে(কাশেম মাস্টার) ঔষধ দিতে অনুরোধ করলেও তিনি বলেছেন দেয়া যাবে না । নিষেধ আছে । কে নিষেধ করেছে তা বলেন নি কাশেম মাস্টার। অসুস্থ বৃদ্ধ আনা মিয়াকে ঔষধ না দেয়ায় তাকে ঔষধ দিতে নিষেধ করেছে বলে নামহীনভাবে গালি গালাজ করে।

এসময় পাশের দোকানে বসে থাকা মোহাম্মদ আলী হঠাৎ করে এসে কিছু বুঝে উঠার আগেই পায়ের সেন্ডেল খুলে এলোপাতারি আনা মিয়াকে জুতা পেটা আরম্ভ করে।
সমাজ কমিটি সহ—সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভান্ডারি—সুন্নি নিয়ে সমাজের মানুষে সাথে আগ থেকেই আনা মিয়ার দ্বন্ধ রয়েছে। তবে বাবার বয়সী এক জন অসুস্থ লোকের গায়ে হাত উঠানো ঠিক হয়নি। তবে ইত: পূর্বে সামাজিকভাবে সমাধান করাও হয়েছে। আর যাই হোক কাশেম মাস্টার তাকে ঔষধ দেয়া উচিত ছিল। ঔষধ দিলে এমন ঘটনা ঘটতনা।

উত্তর শান্তিপুর গ্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ঔষধ দোকানদার আবুল কাশেম এ ব্যপারে কোন কথা বলতে রাজি হন নি।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ আলী নিজের দোষ স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল হয়েছে। বিচারে যা হয় আমি মাথা পেতে নিব। তবে আনা মিয়া ভান্ডারীর অনুসারী। সে মসজিদে যায় না, নামাজ পড়ে না। ইমাম সাহেবকে প্রায় সময় সে গালিগালাজ করে বলেও অভিযোগ করেন মোহাম্মদ আলী।

৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। এখানে দীর্ঘ দিন ধরে সামাজিক বহু সমস্যা রয়েছে। অসুস্থতার কারণে মেয়র সাহেব ঢাকায় রয়েছেন। তিনি আসলে বিষয়টি নিয়ে বসার কথা রয়েছে।