‘খাগড়াছড়ি’ নামকরণ কিভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক!

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ‘খাগড়াছড়ি’ নামকরণ কিভাবে? তাহলে নল খাগড়ার বন থেকেই ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি স্থল।

৫৬হাজার বর্গমাইল আয়তনের দেশ বাংলাদেশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, দৃষ্টিনন্দন জীবনাচার মন কাড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, প্রতœতাত্তি¡ক নিদর্শন, ঐতিহাসিক মসজিদ ও মিনার, নদী, পাহাড়, অরণ্যসহ হাজারও সুন্দরের রেশ ছড়িয়ে আছে টেকনাথ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত।

এর মধ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ও অরণ্যের লীলাভূমি বৈচিত্রময় খাগড়াছড়ি অন্যতম। কিন্তু এই খাগড়াছড়ি নামকরণ হলো কিভাবে?

খাগড়াছড়ি জেলায় সবুজাভ পাহাড়ের ছড়াছড়ি। এর সঙ্গে পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে যাওয়া চেঙ্গি, মাইনি ও ফেনী নদী এই জেলাকে সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। চারদিকে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সবুজ পাহাড়, গিরি-ঝিরি-ঝরনা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবন-সংস্কৃতির সুবাদে পর্যটকদের কাছে এই জেলা বেশ আকর্ষণীয়।

১৮৬০সালে বিচরনে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণা করার আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছিল বৃহত্তর চট্টগ্রামের একটি অঙ্গ। পার্বত্য চট্টগ্রাম তিনটি মহকুমা নিয়ে গঠিত ছিল। এগুলো হলো কাপ্তাই(রাঙামাটি), বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। রামগড় মহকুমায় ছিল তিনটি থানা। এগুলো হলো রামগড় সদর, মহালছড়ি ও দীঘিনালা। এর মধ্যে তৎকালীন মহালছড়ি থানাধীন একটি ইউনিয়ন ছিল খাগড়াছড়ি। ১৯৬৮সালে খাগড়াছড়িকে থানায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৩সালের ৭ই নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ জেলায় রূপান্তরিত হয় খাগড়াছড়ি।

খাগড়াছড়ির প্রাচীন নাম ছিল ‘তারক’। ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি হয়েছিল নল খাগড়ার বন থেকে। খাগড়াছড়ি সদর শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে একটি ছড়া নদী। ওই ছড়া নদীর দু’পাড়ে গভীর নল খাগড়ার বন ছিল। এই নল খাগড়ার বন থেকেই ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি।

শীতে খাগড়াছড়ির যেসব জায়গায় ঘুরবেন। তাদের মধ্যে খাগড়াছড়ির দর্শনীয় স্থানগুলো হলো আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝরনা, আলুটিলার প্রাকৃতিক গুহা, নূনছড়ি দেবতার পুকুর(দেবতার লেক), পানছড়ির শান্তিপুর অরণ্য কুটির, মাটিরাঙার শতবর্ষী বটগাছ, বিডিআর স্মৃতিসৌধ(প্রথম ইপিআর জন্ম), হর্টিকালচার পার্ক, দীঘিনালার হাজাছড়া, তৈদুছড়া ঝরনা, হেরিটেজ পার্ক, জেলা পরিষদ পার্কের ঝুলন্ত ব্রিজ, দীঘিনালা সংরক্ষিত বনাঞ্চল, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, ভগবান টিলা, দীঘিনালার দুই টিলা ও তিন টিলা, ভগবান টিলা, চা-বাগা, রাবার বাগান, রামগড় লেক, দাশোবল বুদ্ধবিহার, বনলতা লেক।