কলারোয়ায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ২’শতবর্ষী তেঁতুল গাছ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ২’শতবর্ষী তেঁতুল গাছ।

উপজেলার প্রাচীনতম জয়নগর বাজারে এক সময়ের জনপ্রিয় ও জমজমাট বাজার ছিলো। তবে সময় ও আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে পিছিয়ে পড়া বাজারটিতে কালের সাক্ষী হয়ে এখনো ২’শতবর্ষী তেঁতুল গাছটি নিজের অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছায়া ও ফল দিয়ে যাচ্ছে।

জানা গেছে, একসময়কার ঐতিহ্যবাহী জয়নগর বাজারের গা ঘেঁষে খরস্রোতা কপোতাক্ষ নদ দিয়ে ট্রলার ও জাহাজে করে পণ্য আনানেয়া হতো। সেই নদ এখন অনেকটাই স্রোত হারিয়ে বাকরুদ্ধ। বাজারও তার জনপ্রিয়তা হারিয়ে নিভে যাওয়া প্রদীপের মত নিভুনিভু। শুধু থাকার মধ্যে অক্ষত থেকে পুরানো ঐতিহ্য হিসেবে কালের সাক্ষী হয়ে এখনো নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে তেঁতুল গাছটি। এখনো গ্রীষ্মের তাপদাহে পথিক তার ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে স্বস্তির নি:শ্বাস নেয়। স্থানীয়রা কেউ কেউ এর ছায়া তলে অলস সময় কাটান।

স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠরা ধারণা করে বলছেন, ‘২০০ বছর কিংবা তার অধিক বয়সেও তেঁতুল গাছটিতে এখনো ফুল ফোঁটে, ফল হয়। পাখিরা বাসা বাঁধে, পাখির কলকাকলি শোনা যায়। তেঁতুল গাছটি এখনো ঐতিহ্য ধরে রাখলেও ঐতিহ্য হারিয়েছে নদ ও বাজারটি।’

বয়োজ্যেষ্ঠ মাস্টার শহিদুল মালী জানান, ‘আনুমানিক ২’শত বছরের অধিক বয়স হবে তেঁতুল গাছটির। পাশের নদও গেছে, বাজারও গেছে, থাকার মধ্যে আছে গাছটিই।’
তিনি আরো জানান, ‘গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে পথিকের নির্ভরযোগ্য আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে গাছতলা।’

আরেক ৭০ উর্দ্ধো বয়সী কাত্তিক পাল জানান, ‘তার পিতা-দাদুর সময়েও তেঁতুল গাছটির প্রাণচাঞ্চল্য ছিলো। ধারণা করা যায় তেঁতুল গাছটির বয়স আনুমানিক ২’শত বছর। স্থানীয়দের সহযোগিতায় গাছটির গোড়া মাটি দিয়ে পাকা করা হয়েছে। এখানে অনেকে বসে সময় কাটান। বাতাস-ছায়া উপভোগ করেন।’