ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা থেকে খালাস পেলেন পত্নীতলার সাংবাদিক আজাদ

২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল করোনা মহামারি সময়কালীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দৈনিক অবজারভার, দৈনিক সোনার দেশ সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের পত্নীতলা প্রতিনিধি। তিনি নজিপুর পৌর এলাকার আল-হেরা স্কুলপাড়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

গ্রেফতারের পর তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় আট মাস ১৮ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হোন সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা ঐ মামলায় পত্নীতলা থানার এসআই মো. জিয়াউর রহমান প্রদত্ত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আটক সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ নিজ ফেইসবুক আইডি ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল ব্যবহার করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ ও ছবি প্রকাশ করে গুজব ছড়িয়ে আসছিল।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ১১ এপ্রিল তারিখে রাতে ডিউটি অবস্থায় লোকমুখে তিনি জানতে পারেন যে, ধৃত সাংবাদিক ইখতিয়ার উদ্দীন করোনা ভাইরাস নিয়ে তার নিজ ফেইসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে নানারকম গুজব, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিমুলক প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে সঙ্গীয় ফোর্স ও অফিসারসহ ১২ এপ্রিল রোববার রাত ৩.৩০ মিনিটে নিজ বাড়ি হতে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে তাঁর ফেসবুক আইডি চেক করলে নানারকম ভিভ্রান্তিমুলক প্রচারণা চালানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, নানা রকম গুজব সম্বলিত লেখা ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে শেয়ার ও প্রচার করে ইচ্ছেকৃত ভাবে একে অপরের প্ররোচনা ও সহায়তায় রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি, সুনাম ক্ষুন্ন করিয়া বিভ্রান্তি ছড়াইয়া, অপপ্রচার ও জনসাধারণের মধ্যে ভীতি ও আংতক সৃষ্টি করিয়া আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত ছবি ধারণ করে ফেইসবুকে প্রচার ও শেয়ার করিয়া জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার উপক্রম করিয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ০৫ (১) (খ)/২৭ (১) (গ)/৩১ (১)/৩৫ (১) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে। দীর্ঘ আট মাস ১৮ দিন জামিনে মুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ ইং মঙ্গলবার ইখতিয়ার উদ্দিন আজাদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা থেকে খালাস পেলেন। এই রায় ঘোষণা করেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত।