তুলে নেয়ার পর যশোরের দুই উপজেলায় দুই ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ

যশোরের শার্শা থেকে সাদা পোশাকে তুলে নেয়ার একদিন পর দুই উপজেলায় মিললো দুই ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ লাশ। রোববার সকালে লাশ দুটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহতরা হলেন শার্শা উপজেলার জামতলা সামটা গ্রামের জেহের আলীর দুই ছেলে আজিজুল (৪০) ও ফারুক (৫০)।

আজিজুল শার্শায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর কেশবপুরে ফারুকের গুলিবিদ্ধ লাশ অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ভাই সাইজুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যা আজিজুল ও ফারুক স্থানীয় বাজারে যান। সেখান থেকে অজ্ঞাত ৪-৫জন সাদা পোশাকে দুইজনকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্নস্থানে খোঁজ করেও সন্ধান মেলেনি।

তিনি বলেন, রোববার সকালে আজিজুল বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে খবর পায়। হাসপাতালে এসে তার লাশ সনাক্ত করি। কিন্তু ফারুকের সন্ধান পাচ্ছিলাম না। দুপুরে আজিজুলের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় শুনতে পারি, কেশবপুর থেকে একটি অজ্ঞাত লাশ আসছে। মর্গে গিয়ে ফারুকের লাশ সনাক্ত করি।

শার্শা থানার ওসি হুমায়ুন কবির জানান, রোববার সকালে শার্শা উপজেলার পশ্চিম কোটা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে মাথায় গুলিবিদ্ধ একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ওসি আরও জানান, নিহত ব্যক্তি উপজেলার জামতলা সামটা গ্রামের জেহের আলীর ছেলে আজিজুল হক। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে একই দিন সকালে কেশবপুর উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে গুলিবিদ্ধ ফারুকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ এ ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ জানাতে না পারলেও পরবর্তীতে স্বজনরা শনাক্ত করেন। লাশ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

কেশবপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন জানিয়েছেন, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।