নেত্রকোনার মদনে বাকীর টাকা পরিশোধের তাগিদ দেওয়ায় দোকানে আগুন

নেত্রকোণা মদন উপজেলার পৌর শহরের মদন বাজারে উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে নন্দিনী স্টোর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুলিহাঁটি (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আলা-আমিন ও তার ছেলে আপন(১৮) বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৬ জুন) সরজমিনে গেলে জানা যায়, নন্দিনী স্টোরের মালিক সুমন চন্দ্র দে এর বাড়ি উপজেলার বাড়রি ভাগতপুর গ্রামে। তার পিতা কাজল চন্দ্র দে। সে দীর্ঘ দিন ধরে মদন বাজারে টিএনটি রোডে উপজেলা পোস্ট অফিসের সামনে মনোহারী ব্যবসা করে আসছে। কিছু দিন পূর্বে আল-আমিন ও তার ছেলে আপন দোকানের মালামাল বাকী নিতে চাইলে কথা কাটা হয়েছিল সুমনের সাথে। তারই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে দোকান মালিক সুমন বলেন, কিছু দিন পূর্বে আল-আমিন ও তার ছেলে আপন আমার দোকানে মালামাল বাকী নিতে আসলে আমি বাকী দিতে অস্বীকৃতি জানালে, তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে বলে, বাজারে কিভাবে ব্যবসা করিস দেখে নিবো। আরো বলে, তর দোকান ও তরে এক সাথে পুড়ব এই বলে হুমকি দিয়েছিল। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

আপনের পিতা আল-আমিন জানান, আমার ছেলে গত রাতে রাগ কারে ইমদাদপুর নানা বাড়িতে চলে গেলে তার নানী বুঝিয়ে আমার বাসায় পাঠানোর সময় রাস্তায় বৃষ্টি হলে সে সুমনের দোকানের বারান্দায় আশ্রয় নেয়। তখন হঠাৎ বিকট শব্দ হয়ে তেলের মতো কি যেনো শরীলে পরে এবং আগুন লেগে যায়। এখন আমার ছেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ সাদেক মিয়া জানান, দোকান পুড়ার এমন ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা জানাই। আল-আমিন ও তার ছেলে আপনকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে মদন ফায়ার স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আকরামুল ইসলাম জানান, আমরা রাত আড়াইটা দিকে কল পেয়ে মদন বাজারে যাই এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুন নিভানোর সময় কোনো বৃষ্টি ছিলো না। আমরা পৌঁছার আগেই দোকানের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম মিয়া বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে
আমি সরেজমিনে তদন্ত করে দেখলাম দোকানের
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা হবে। দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।