পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫লাখ টাকার তরমুজসহ ২ হাজার গাছ উপরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তিন বর্গা চাষির প্রায় ৫ লঅখ টাকার তরমুজসহ দুই হাজার গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ধানখালী ইউপির পাচজুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক দুধা হাওলাদার, রুবেল ও ইদ্রিস তাদের তিন একর জমির প্রায় পরিপক্ক ফসল হারিয়ে বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর ধরে রাজু হাওলাদার গং ও শাহালম মৃধা গংদের মধ্যে ৩ একর জমি নিয়ে মামলা চলে আসছে। বর্গাচাষীরা রাজু হাওলাদারের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে ওই জমিতে তরমুজ চাষ করেন। বর্তমানে সব গাছেই ফল ধরেছিলো। রাতে এ তরমুজ গাছগুলো শাহলম মৃধার নেতৃত্বে উপড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ বর্গা চাষিদের।

এ দিকে বুধবার শাহলম মৃধার মামলায় রাজু হাওলাদার, মতলেব হাওলাদার, শাহজাহান, তৈয়বআলী শিকদার, সেলিম হাওলাদার, আনোয়ার হাওলাদার, জয়নাল মৃধা ও রিপন হাওলাদার কলাপাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরন করেন।

বর্গা চাষী দুধা হাওলাদারের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে দিনরাত পরিশ্রম করে এ তমুজ ফলিয়েছি। আর ১৫ দিন পরেই এসব তরমুজ বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু রাত বারোটার পরেই আমাদের সর্বনাশ করলো। আমাদের সঙ্গে এই এলাকার কারো বিরোধ নেই। এ জমি নিয়ে শাহালম মৃধার সঙ্গে রাজু হাওলাদারের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। শাহালম মৃধার নেতৃত্বেই তরমুজ গাছগুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। অপর বর্গা চাষী রুবেল হাওলাদারের স্ত্রী মিলী বেগম জানান, রাত সাড়ে এগারোটার দিকেই আমরা ক্ষেত থেকে এসেছি। আমাদের একেবারে পথে বসিয়ে দিলো। আমরা বর্গা চাষী, আমাদের তো কারো সঙ্গে ঝামেলা নেই। তাইলে আমাদের উপরে কেন এত অত্যাচার। ইদ্রিস হাওলাদার জানান, তাদের সঙ্গে এ রকমের মামলা চলে ভালো। আমরা যখন জমি বর্গা নিয়েছি তখন আমাদের জানালে আমরা এখানে তরমুজ চাষ করতাম না । গরিবের পেটে লাথি মারাই তাদের কাজ। আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেলাম।

এবিষয়ে শাহালম মৃধার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এমআরএম সাইফুল্লাহ জানান, ঘটনাস্থলে মাঠ কর্মীদের পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে সেটা এখনো নিশ্চিত বলা যাচ্ছেনা।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, ঘটনা শোনামাত্র পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।