পাবনায় আগ্রহ বাড়ছে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুল চাষে

পাবনার সুজানগরে স্বল্প পরিসরে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হলেও এ বছর বেশ অনেকটা বাড়ছে। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের জমিতে ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরবিশ্বনাথপুর, চরভবানীপুর, চরসুজানগর, শ্যামনগর, ভাটাপাড়া এবং চরখলিলপুরে রয়েছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। ওই সব চরাঞ্চলের জমিতে ধানপাটসহ অন্যান্য ফসল তেমন ভাল হয়না। বলতে গেলে কৃষকরা বেশিরভাগ সময় ওই সকল জমিতে ধানপাট আবাদ করে লোকসান গুণতে হয়। আর লোকসান পুষিয়ে নিতে তারা প্রতি বছর চলতি মৌসুমে ওই জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেন। চরাঞ্চলের কৃষক ছাড়াও উপজেলার অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও কম-বেশী সূর্যমুখী ফুল চাষ করে থাকেন।

তবে গেল বছর ১০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হলেও এবার ১৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। উপজেলার চরসুজানগর গ্রামের কৃষক বাদশা শেখ বলেন সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎপাদন খরচ কম। তাছাড়া ফলন হয় বেশ ভাল। সে কারনে লাভ বেশী হয়। অনেক কৃষক সূর্যমুখী ফুল চাষ করে তাদের সংসারে সচ্ছলতা পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।

উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, ১বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করতে সার-বীজসহ উৎপাদন খরচ হয় ১২ থেকে ১৫হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বীজ উৎপাদন হয় ৭ থেকে ৮মণ। বর্তমানে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হাট-বাজারে প্রতিমণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। এতে কৃষকের লাভ হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে দিগুণ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন, সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎপাদন খরচের চেয়ে লাভ বেশি। সে কারনে উপজেলার কৃষকরা দিনের পর দিন সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগও তাদের সুর্যমুখী ফুল চাষে সহযোগিতা করছেন।