পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মসজিদের ইমামকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কুপিয়ে জখম

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদের (খাল আগা) ইমাম মোঃ আলী হোসেনকে কুপিয়ে জখম করেছে বড়শিঙ্গা গ্রামের পাঁচশতকুড়া এলাকার সুমন ও তার লোকজন। সুমন ওই এলাকার জলিল তালুকদারের ছেলে।সে পেশায় একজন রেন্ট এ কার।ঘটনার পর থেকেই সুমন পলাতক রয়েছে।

গত (১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আলী হোসেন নামে ওই ইমামের ওপর হামলা চালানো হয়। থানা পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।

জানা গেছে, ঘটনার কয়েকদিন আগে তর্ক বিতর্কের জের ধরে সুমনের স্ত্রী তার শ্বাশুড়িকে বসার টুল (ফ্রী) নিক্ষেপ করে।ঘটনার দিন মসজিদের ইমাম আলী হোসেনের স্ত্রী এ বিষয়টি নিয়ে ঘরে বসে নিজেরা আলোচনা করে। এ আলোচনা শুনতে পেয়ে সুমন ও সুমনের স্ত্রী উত্তেজিত হয়ে আলী হোসেনের স্ত্রীকে শাসাতে থাকে।

এ সময় আলী হোসেন মসজিদে ইফতার ও মাগরিবের নামাজ আদায় করে ঘরে এসে প্রতিবাদ করলে সুমন ও তার পরিবারের লোকজন হামলা চালায়।দায়ের কোপে আলী হোসেনের মাথা কেটে যায়,একটি কানের আংশিক কেটে যায়,পিঠে ও হাতে জখম হয় এবং মুখমন্ডল রক্তাক্ত জখম যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিপক্ষ সুমন তালুকদার ৩ বছর পূর্বে আলী হোসেনের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এরপর গত বছর রমজান মাসে অলিখিতভাবে আরও ২০ হাজার টাকা নেয়। অদ্যবধি পর্যন্ত কোন টাকাই পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এছাড়াও জমির সীমানা নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এজন্য পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই এ হামলা করা হয় বলে ধারনা অনেকেরই।

ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশালে রেফার করেন। এ ঘটনার পর ওই মসজিদটিতে তারাবির নামাজ পড়ানো বন্ধ হয়ে যায়।সকালে মসজিদের মক্তবে পড়তে এসে কোমলমতি শিশুরা বাড়ি ফিরে যায়।

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মসজিদের একজন ইমামের ওপর কেন হামলা করা হয়েছে তা জানার জন্য সুমন নামে ওই যুবকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।