বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচন দ্বন্দ্বে জড়ালেন দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা

বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভা উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচনি অফিস তৈরীকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়ালেন ক্ষমতাসীন দলের দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা। এর ফলে দু’দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে পৃথক পৃথক সময়ে পৌরসভা এলাকার শব্দলদীঘি মহল্লায় ও সুলতানপুর মহল্লায় এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

আহতরা হলেন, মাসুদ আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সবুজ ও শাহিনুর ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার ও নির্বাচনি অফিস তৈরীকে কেন্দ্র করে নারিকেল গাছ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক ও হ্যাঙ্গার প্রতীকের মেয়র প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজ্জাকুল রহমানের সমর্থকদের মধ্যে দু’দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

মেয়র প্রার্থী তৌহিদুর রহমান মানিক বলেন, রাজুর সমর্থকরা আমার সমর্থকদেরকে বিনা কারণে মারপিট করে আহত করেছে। পৌর এলাকায় আমি অভূতপূর্ব উন্নয়ন করায় জনসমর্থন আমার দিকে বেশি থাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বিজয় ঠেকাতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিপক্ষের নির্বাচনি অফিস করতে আমার লোকজন কোন বাধা সৃষ্টি করেনি। এটা তাদের একটা চক্রান্ত।

রিজ্জাকুল রহমান রাজু বলেন, আমার জনসমর্থন ভিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লাঠি-শোটাসহ আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে অন্যায়ভাবে ৩জন সমর্থককে আহত করেছে। প্রচারণার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে কোন নির্বাচনি অফিস করতে দিচ্ছেনা।

থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ গণমাধ্যমকে বলেন, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত ও পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।