বগুড়ার কামতারা যাত্রী ছাউনি এখন ফুটপাতের দোকান!

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কামতারা যাত্রী ছাউনি এখন ফুটপাতের দোকানে পরিণত হয়েছে।

বুড়িগঞ্জ থেকে পিবর রোড ও শিবগঞ্জ থেকে পিবর রোডের ত্রিমুখী স্থান হলো কামতারা তিনমাথা।

ঐ এলাকার যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা ও বিশ্রামের জন্য ২০ বছর পূর্বে কামতারায় নির্মান করা হয়েছিলো যাত্রী ছাউনি।

দীর্ঘদিন ধরে যাত্রী ছাউনিটি দখলে রেখেছেন পঞ্চদাশ ভোলাপাড়ার এলাকার আব্দুল খালেক।

বর্তমানে সেখানে চায়ের দোকান, খাবারের হোটেল, পান-সিগারেটের দোকান বসানো হয়েছে।

যাত্রীদের বিশ্রামের পরিবর্তে ছাউনিটি এখন চা, সিগারেট, পান ও খাবারের হোটেলে পরিণত হয়েছে।

প্রায় ১০ বছরেও পূর্বে যাত্রী ছাউনিটি দখল হওয়ার ফলে ওই এলাকার যাত্রীদের রোদ ও বৃষ্টিতে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থেকে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী ছাউনিতে অস্থায়ী দোকান স্থাপন করার ফলে বর্তমানে যাত্রী ছাউনির কোনো অস্তিত্ব নেই।

অনেকের অভিযোগ, যাত্রী ছাউনির আশপাশে সন্ধা হলে মাদকসেবী ও ছিতাইকারীদের আড্ডা চলে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, যাত্রী ছাউনি দখল হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের আসা যাওয়ার সময় বিশ্রাম নিতে খুবই সমস্যা হয়।

যাত্রী ছাউনি দ্রুত উদ্ধার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

বুড়িগঞ্জ হাটের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের এলাকার যাত্রীদের জন্য সড়কের পার্শ্বে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু দিনে ও রাতে সেখানে মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীরা চা-পানের নামে আড্ডা দেয়।

এলাকার কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে জায়গাটি দখল করে নিয়ে হোটেল ব্যবসা করে আসছেন। তাকে কিছু বললেই তিনি জানান এলাকার প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই নাকি ব্যবসা করছেন। তার কাছে সাধারণ মানুষের কথা মূল্যহীন।

এ বিষয়ে আব্দুল খালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জায়গাটি পড়ে থাকায় আমি খাবারের হোটেল ব্যবসা করছি। কর্তপক্ষ বললে আমি ছেড়ে দিবো। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।

এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, যাত্রী ছাউনি যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য করা হয়েছে। এখানে যাত্রীরা বিশ্রাম নেবে। সমস্যার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।