বগুড়ার শিবগঞ্জে বিয়ের দাবিতে যুবকের বাড়িতে অনশনে বসেছিলেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। সন্ধার পর আকষ্মিকভাবে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।

দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তোরাব হোসেন (২১) গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। সে উপজেলার জুড়ি অনন্তপুর গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে। সোমবার সকাল থেকে অনশনে বসেছিলো ঐ গৃহবধূ। বর্তমানে সে তিন মাসের অন্তঃসত্ত¡া বলে অভিযোগ উঠেছে। তার স্বামী ৪বছর পূর্বে জীবন জীবিকার সন্ধানে বিদেশে যায়।

সরেজমিনে জুরি অনন্তপুর গ্রামে গেলে ঐ গৃহবধূ জানায়, আমাদের গ্রামের নুনু মিয়ার ছেলে তোরাবের মোবাইলে আমার স্বামী বিদেশ থেকে টাকা পাঠাতো। টাকা দেওয়া নেওয়া সূত্রে তার সাথে আমার সর্ম্পক গড়ে উঠে। গত ২৯মে তোরাব আমাকে বিয়ে করবে বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে এসে কৌশলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী (২১) আরও জানান, তোরাব বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মাঝে মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক করতো। বর্তমানে আমি ৩মাসের অন্তঃস্বত্বা। এব্যাপারে যুবক তোরাব ও তার পরিবারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

মেয়ের মা আয়েশা বেগম বলেন, সন্ধার পর থেকে অনশনরত আমার মেয়েকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। আমার ধারণা ঐ ছেলে ও তার পরিবার আমার মেয়েকে কৌশলে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমি থানায় জিডি করবো।

শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাসমত উল্লাহ জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো। ভুক্তভুগী নারী থানায় অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।