যশোরের মণিরামপুর যুবদলের কমিটিতে কোন্দল চরমে, পদ হারাচ্ছেন এক নেতা

অভ্যন্তরীন কোন্দল শুরু হয়েছে যশোরের মণিরামপুর জাতীয়তাবাদী যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে। ইউনিট কমিটি করার প্রস্তুতিকালে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তারা। এ কমিটির আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ এবং সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম এক পক্ষে থাকলেও সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মুক্তার হোসেন নিজস্ব বলয়ে নিয়মিত কমিটি করতে কার্যক্রম শুরু করে। এতে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে কমিটির সদস্যদের মাঝে। ইতোমধ্যে যুগ্ম-আহবায়ক মুক্তার হোসেনের এহেন কর্মকান্ডের জেলা যুবদল তিনদিনের মধ্যে জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ করেছেন।
গত মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল-২০২২) জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানার স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়েছে- মুক্তার হোসেন যেটা করেছেন সেটা নিতান্তই সংগঠন পরিপন্থি। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। মোক্তার হোসেন নিজের পছন্দের লোকজনদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি সিদ্ধান্তে বিএনপি দলীয় কার্যালয় থেকে সংগঠনের তথ্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ শুরু করেন। যেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আহবায়ক ও সদস্য সচিবের দাবী- যুবদলের কমিটি করতে সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় থেকে ফরম বিতরণ করার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে মূলদলের একটি পক্ষদুষ্টু হয়ে যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন অতি সু-কৌশলে তার নিজের লোকদের নিয়ে ফরম বিতরণের কার্যক্রম করে চলেছেন গত সপ্তাহ খানেক আগের থেকে।
এদিকে- এ ঘটনায় জেলা যুবদল মুক্তার হোসেনকে কারণ দর্শনোর নোটিশ করা হলেও গতকাল বুধবার (২০ এপ্রিল-২০২২) মুক্তার হোসেন আগের অবস্থানে অনড় থেকে ফরম বিতরণ করে চলেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা। এনিয়ে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বাড়ছে।
তবে- এ বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মুক্তার হোসেন তার ফোনটি রিসিভ করেননি। আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের অভিযোগ সংগঠনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন তার নিজস্ব কায়দায় কর্মকান্ড করে চলেছেন। আর এসব বিষয়ে জেলা কমিটিকে জানানো হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদ আহ্বায়ক ও সাইদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে ৪৪ সদস্যের মণিরামপুর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মুক্তার হোসেন থানা বিএনপি আহ্বায়ক এ্যাড. শহীদ মো. ইকবাল হোসেনের আস্থাভাজন কর্মী।
সংগঠনের একাধিক সূত্র জানায়- থানা যুবদলের ৪৪ সদস্যের এই কমিটির অধিকাংশই থানা বিএনপি নেতা শহীদ ইকবালের বিপক্ষ গ্রুপের। যে কারনেই আগামী ইউনিট কমিটি করতে আগের থেকেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে সংগঠনটি।