লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বৃদ্ধা মাকে মারধর, থানায় অভিযোগ

যে সন্তানের চোখে-মুখে নিজের ভবিষ্যত দেখতেন, সেই সন্তানের বিরুদ্ধে বৃদ্ধা মা আলেফজান বেগম (৬০) কে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে আক্তার হোসেন ও মাহবুবার রহমান বাবু নামের দুই ছেলে ও বউয়ের বিরুদ্ধে।

বৃদ্ধা ওই মাকে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৪ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে।

নির্যাতিত ওই বৃদ্ধা উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের হাড়ীশ্বর এলাকার আবু বকর সিদ্দিকের স্ত্রী।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মা আলেফজান বেগম বাদী হয়ে ছেলে ও ছেলের বউসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন- আক্তার হোসেন,মাহবুবার রহমান বাবু,মনির হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, রাশেদা বেগম এবং লিজা বেগম।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া অভিযুক্তগণের সহিত দীর্ঘদিন ধরে ওই বৃদ্ধার বিরোধ চলছিল। উক্ত বিরোধের জেরে প্রায় সময় তার দুই ছেলে দুই পুত্রবধূসহ বৃদ্ধা মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন করিয়া আসিতেছে। এরই এক পর্যায়ে গত ২৪ এপ্রিল ছেলেরা তার বাবার কু-পরামর্শে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধার চুলের মুটি ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মারেন এবং ছেলে আক্তার হোসেন বৃদ্ধা মাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলা চিপিয়া ধরে ও আরেক ছেলে লোহার রড দিয়ে মাথা বরাবর ডাং মারেন। এসময় বৃদ্ধার চিৎকারে ছেলে মুছা মিয়া আগাইয়া আসিলে তাকেও মারপিট করেন তার আত্মচিৎকারে আরেক ছেলে মোন্নাফসহ স্থানীরা ছুটে এলে তাহাদের সামনেই বৃদ্ধা মাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।

১৫ মে সকালে ওই বৃদ্ধা আলেফজান বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলে ও তার বউরা তারা বিভিন্নভাবে নির্যাতন করছেন। ওল্টো তারাই আমার ছোট ছেলেদেরসহ বউ, মেয়ে জামাইদের আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় পুলিশ এসে আমার কোন কথা না শুনেই ছোট ছেলে মোন্নাফকে ধরে নিয়ে যান।

এ বিষয় অভিযুক্ত ছেলে আক্তার হোসেনের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বৃদ্ধা মাকে মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করে ফোন কেটে দেন।

এ বিষয় দলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, একজন মাকে এভাবে মারধরের ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান বলেন, থানায় মা এবং ছেলে দুজনেই অভিযোগ করেছে। তার মধ্যে ছেলে আক্তার হোসেনের মামলায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’