২৮ অক্টোবর নির্যাতিত সাংবাদিকদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

২৮ অক্টোবরে বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে সমাবেশে আহত সাংবাদিকরা বলেন, গত ২৮ অক্টোবরে আমরা আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা হঠাৎ করে আমাদের উপর হামলা করেছে। আমাদেরকে নির্বিচারে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়েছে। আমাদের উপর যারা প্রকাশ্যে হামলা চালিয়েছে তাদের ফুটেজ আছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। আমরা আশা করবো যারা আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মানববন্ধনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে সাংবাদিকদেরকে রাস্তায় ফেলে নির্বিচারে পিটানো হয়েছে। ক্যামেরা ম্যানদের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে। অনলাইন, টেলিভিশন, পত্রিকা কোনটাই এর থেকে রেহাই পায়নি। চিফ জাস্টিসের বাসায় হামলা করা হয়েছে, হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে এম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সাংবাদিকদের উপরেও হামলা করা হয়েছে। পুলিশকে নির্বিচারে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার দাবি করছি। গণমাধ্যম যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবিষয়ে আমরা বহুবার বলেছি এবং এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব সকল রাজনৈতিক দলের।

তিনি আরও বলেন, যারা সাংবাদিকদের উপরেও নির্বিচারে হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি। অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করা হয় আমরা সেটির দাবি জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন এব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। নির্বাচনের পরে যাতে অপরাধীদেরকে গ্রেফতার করা হয় এ ব্যাপারে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, গত ২৮ অক্টোবরে সাংবাদিকদের উপরে বিএনপি হামলা করে প্রমাণ করেছে তারা একটি সন্ত্রাসী দল। বিএনপি এখন আর রাজনৈতিক দল নয় তারা যদি রাজনৈতিক দল হতো তাহলে কখনোই এভাবে সাংবাদিকদের উপরে হামলা করতে পারতো না।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, যারা সাংবাদিকদের উপরে নির্মমভাবে হামলা করেছে প্রশাসন যাতে তাদেরকে চিহ্নিত করে তারাতারি আইনের আওতায় নিয়ে আসে। হামলাকারীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

২১ শে টিভির ক্যামেরা পার্সন মো. হানিফ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক নেতা শেখ জামাল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী, আহত সাংবাদিকদের মধ্যে বার্তা বাজারের স্টাফ রিপোর্টার মারুফ সরকার, দৈনিক ইত্তেফাকের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার শেখ নাসের, ফটো সাংবাদিক আনিস, কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার রুবেল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।