চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দার বাঁধে অবৈধ স্থাপনা! নিরব পাউবো
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নামোনিমগাছী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বাঁধে অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন স্থানীয়রা।
মহানন্দা নদীর তীরবর্তী নামোনিমগাছী এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের সম্পত্তি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও যেন নিরব ভূমিকায় রয়েছেন পাউবোর কর্মকর্তারা। স্থাপনা নির্মাণের বিষয়টি দফায় দফায় জানানো হলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, মহানন্দা নদীর তীরবর্তী নামোনিমগাছী এলাকায় পাউবোর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ দখল করে অনেক স্থানে ব্লক তুলে দোকানঘর, ইটের চৌবাচ্চা তৈরী করে গরুর উচ্ছিস্ট অংশ রাখার স্থান, আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে পাউবো কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। তারা নাম মাত্র নোটিশ করেই থেমে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
জানা গেছে, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নামোনিমগাছী এলাকাটি ১৯৯৪ সাল থেকে ভাঙন দেখা দিলে পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। আর এ বাঁধে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছে স্থানীয়রা।
এদিকে খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাঁধের উপর স্থানীয়রা ইটের চৌবাচ্চা তৈরী করে গরুর উচ্ছিষ্ট অংশ সংরক্ষণ করার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ হওযায় কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে আসতে অনিহা প্রকাশ করছে।
এ প্রসঙ্গে খামার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাবনী ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয়ের সামনে বাঁধের উপর ইটের তৈরী চৌবাচ্চায় গরুর উচ্ছিষ্ট অংশ সংরক্ষণ এবং তার পাশে খড়ের পালা রাখায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত এর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ না করতে পারলে একসময় এ বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে।
এলাকার মনজুর রহমান ও ইউসুফ আলী বাবু জানান, সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতার কারনে এলাকার কিছু ব্যক্তি এ ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে। আবার বাঁধের উপর অনেকেই গাছ লাগিয়েছে, গাছের গোঁড়া চুয়ে বাঁধের ব্লকের নীচে যে কার্পেট রয়েছে তা নষ্ট হয়ে গেলে বাঁধটি যেকোন সময় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এদিকে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতার কারণে দখলদাররা আরো উৎসাহিত হয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ বিষয়ে জানানো হলেও উচ্ছেদে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তিনি মনে করেন, একসময় এ বাঁধটি ভাঙ্গার উপক্রম দেখা দিতে পারে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেসুর রহমান জানান, যারা বাঁধের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং স্থাপনাগুলো অতি দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন