কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই

বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী।

তিনি বলেন, বেলা ২টায় সদর উপজেলার টিক্কারচর এলাকায় বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচে ৯.৯ মিটার উচ্চতায় গোমতীর পানি প্রবাহিত হয়।

২৫ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যেই গোমতীর চর ডুবে গেছে। গোমতীর চরে কৃষকরা সারা বছরই সবজি চাষ করে থাকেন। বর্তমানে চর ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।চর ডুবতে থাকায় অসময় ফসল তুলে নিচ্ছেন চাষিরা।

জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, তার বাড়ি গোমতীর চরে। এখন তার বসতঘরে কোমরসমান পানি। ঘরের মালপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। এখানে বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করে। সবার একই অবস্থা।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উদয়পুরের সোনাইমুড়ি এলাকায় গোমতীর উৎপত্তি। এর প্রায় ৯০ কিলোমিটার ভাটিতে কুমিল্লা। নদীটি কুমিল্লা সদর, বুড়িচং, দেবিদ্বার, মুরাদনগর, তিতাস ও দাউদকান্দি উপজেলা হয়ে মিলিত হয়েছে মেঘনায়।

সম্প্রতি ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। এতে সেসব এলাকাসহ তার উজানে থাকা বাংলাদেশের সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে।