কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে আসলো জলপাইরঙা প্রজাতির মৃত কচ্ছপ

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ফের এসেছে সাগর কাছিম প্রজাতির একটি মৃত মা কচ্ছপ।

শনিবার রাত ৯টার দিকে জোয়ারের তোরে সৈকতের ঝাউবন পয়েন্ট এলাকায় কচ্ছপটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যদের খবর দেয়া হয়।

ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা জানায়, কচ্ছপটির ওজন আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ কেজি হতে পারে। এটির শরীরের সামনের অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিশেষ করে মুখ এবং পা অর্ধগলিত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জেলেদের জালের আঘাত কিংবা বড় কোন ফিসিং বোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা প্রানিটির মৃত্যু হয়েছে।
তবে আরও দুই তিন দিন আগে কচ্ছপটির মৃত্যু হয়েছে বলে তাদের ধারণা।

ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্যরা কেএম বাচ্চু জানান, কচ্ছটি দেখে মনে হয়েছে এটি মা কচ্ছপ। সাধারণত এসময়ে ডিম পারার জন্য গভীর সমুদ্র থেকে মা কচ্ছপরা উপকূলে ভেসে আসে। কচ্ছপটি মাটি চাপা দেয়া হবে।

ওয়ার্ল্ডফিস ইকোফিস-২ প্রকল্পের সহকারী জীব বৈচিত্র্য গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, এটি মূলত জলপাইরঙ্গা সাগর কাছিম প্রজাতির কচ্ছপ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে লিপিডোসিলাস ওলিভেসা। এসব কচ্ছপ মূলত গভীর সাগরে বিচরণ করে। তবে এ মৌসুমের অমাবশ্যা এবং পূর্নিমায় ডিম পাড়তে উপরের দিকে চলে আসে। আর এসময় জেলেদের জালের আঘাতে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হতে পারে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেও এসব কচ্ছপের মৃত্যু হতে পারে। তবে এভাবে একের পর এক মৃত কচ্ছপ ভেসে আসায় আমরা অনেকটা উদ্বিগ্ন। কচ্ছপ সমুদ্রের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অনেকটা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। মূলত সমুদ্রকে দূষন মুক্তই করে কচ্ছপ। তাই গবেষনা করে এসব কচ্ছপের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন খুবই জরুরি। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করা দরকার।

পটুয়াখালী জেলা বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক তারিকুল ইসলাম জানান, কচ্ছপটি মাটি চাপা দেয়ার জন্য বন কর্মীদের বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এবছর কুয়াকাটা সৈকতে এটি নিয়ে মোট ৭টি মৃত কচ্ছপ ভেসে এসেছে।