নওগাঁর রাণীনগরে নিয়ম ভঙ্গ করে নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ

নওগাঁর রাণীনগরে নিয়ম ভঙ্গ করে অগভীর নলকূপ স্থাপনের অভিযোগ ওঠেছে। নলকূপ স্থাপন বন্ধে আদালতে মামলা ও করেছেন ভুক্তভোগী। এতে রাতা-রাতি নলকূপ স্থাপনের কাজ করার অভিযোগ করা হয়েছে।

উপজেলার রাতোয়াল গ্রামের শওকত আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন,১৯৯৭ সালে রাতোয়াল মৌজায় ৩৯ দাগে একটি গভীর নলকূপের (এসটি ডব্লু) পল্লী বিদ্যুতের লাইন নির্মান করে জমিতে পানি সেচ দিয়ে আসছেন। এরই মধ্যে একই গ্রামের তাহের আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক তার স্ত্রীর নামে নলকূপ স্থাপনের জন্য ছাড়পত্র নেয়। ঘটনা জানতে পেরে সংযোগ বন্ধ করতে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর কাজ না হওয়ায় গত বছরের আগষ্ট মাসে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তার পর আবারও কাজ চালু করার হুমকি দিলে এবং চেষ্টা করলে গত ডিসেম্বর মাসে নলকূপের কার্যক্রম,‘বিদ্যুৎ লাইন নির্মান,সৌর বিদ্যুৎ’ লাইন নির্মান বন্ধ করতে আবারও আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারা মতে আবেদন করেন।

আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উক্তস্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তিশৃক্সখলা বজায় রাখতে রাণীনগর থানাপুলিশকে নির্দেশ দেন এবং তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে নির্দেশ দেন। এঘটনায় থানাপুলিশ উক্তস্থানে শান্তি বজায় রাখতে উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করলে বিবাদী রাতের অন্ধকারে নলকূপ স্থাপনের কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম। ওই স্থানে নলকূপ স্থাপন করলে ব্যবসায়ীকভাবে চরম ক্ষতির মূখে পরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক বলেন,ওই স্থানে আমার ৩৮ বিঘা জমি রয়েছে। বহু বছর আগে থেকেই সেখানে শ্যালোমেশিন দিয়ে আমরা চাষাবাদ করে আসছি। গত ২০১৮ সালে সেখানে বিদ্যুৎ’ সংযোগের জন্য আবেদন করে ছাড়পত্র নিয়েছি। আপাতত সৌর প্যানেল স্থাপন করেছি । এছাড়া সেচ নিতিমালা অনুসরণ করেই আমি রফিকুলের এড়িয়ার বাহিরে নলকূপ স্থাপন করেছি। সে আমাকে হয়রানি করতেই আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছে।

রাণীনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন,নলকূপ স্থাপন নিয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। সেখানে শান্তি শৃক্সখলা বজায় রাখতে আদালতের নির্দেশে নোটিশ জারি করেছি।