পটুয়াখালির কলাপাড়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ফার্নিচার বিক্রির পাওনা টাকা চেয়ে মামলা করায় ব্যবসায়ীকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বেধে রেখে সাথে থাকা নগদ অর্থ ও সর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ ব্যবসায়ীর।

এ ঘটনায় বাদি হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ইউনুচ খান। মামলার অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ধানখালী ইউপির সোমবাড়িয়া বাজারে একটি প্রতিষ্ঠানে ফার্নিচারের ব্যবসা করে আসছেন ওই ইপির মৃত আকুব আলীর পুত্র ইউনুচ খান। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তার আপন মামা আক্কাছ হাওলার ও তার ছেলে জাহিদুল ১ লাখ টাকার ফার্ণিচারসহ কাঠের মালামাল বাকিতে ক্রয় করে। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় তিনি ১১ জুলাই মামার নিজ বাড়ি চম্পাপুর ইউপির দেবপুর গ্রামে গেলে তাকে টাকা না দেয়ার হুমকি প্রদান করে। পরবর্তীতে কোন উপায় না পেয়ে ১৭ জুলাই কলাপাড়া জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার খবর পেয়ে ২৭ জুলাই তার মামা আক্কাছ ইউনুচকে টাকা দেয়ার কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। বাড়িতে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে তার মামাতো ভাই সজীবের নেতৃত্বে তার উপর হামলা চালায় মামা আক্কাস হাওলাদার, মন্টু, খবির, রফিক, হান্নান, আমির, সোলায়মানসহ ১০/১২ জনের একটি দল। এসময় প্রান বাঁচাতে তিনি চিৎকার দিলে তার এক অপর মামার স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কলাপাড়া থানা পুলিশে তাকে হস্তান্তর করে।

ভুক্তভোগী ইউনুচ জানান, টাকা না দেয়ার জন্য আমার রক্তের স্বজনেরা একটি মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে মারধর করেছে। যাতে আমি আর সমাজে কারো কাছে টাকা চেয়ে বিচার দিতে না পারি। এ ঘটনায় তিনি বিচারের দাবী জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি মো.জসিম উদ্দিন জানান, আমাদের কাছে কোন অভিযোগ এখনো আসেনি।