পটুয়াখালীতে এমপি মহিব’র সন্মান হানির অপচেষ্টা বন্ধের দাবী

পটুয়াখালী-০৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান’র সন্মান হানির অপচেষ্টা বন্ধ সহ দুস্কৃতিকারীকে
আইনের আওতায় আনার দাবী করেছেন সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী মো: তরিকুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি আবেদন করেন।

তরিকুলের লিখিত আবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকীর প্রতিবাদে ৪ জুন স্থানীয় আ’লীগের বিক্ষোভ মিছিল, সভায় অংশ নিতে এমপি মহিব ঢাকা থেকে নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসেন। সাংসদ মহিব ধূলাসার ইউপির স্থায়ী বাসিন্দা এবং সেখানে তার একশত বছর পূর্বের পৈত্রিক নিবাস। ওই স্থানে তাঁর পিতাসহ পূর্ববর্তী মুরুব্বীগন চির নিদ্রায় শায়িত। কলাপাড়া সদরে সাংসদের বসতবাড়ী না থাকায় সাংসদকে তাঁর পৈত্রিক নিবাসেই রাত্রি যাপন করতে হয়। এছাড়া সাংসদ নিজেদের প্রতিষ্ঠিত হাফেজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানার এতিম শিশু ও হাফেজদের সাথে নিয়মিত নামাজ আদায় এবং একসাথে দৈনিক খাবার গ্রহনে তুষ্ট থাকেন।

আবেদনে আরও বলা হয়, ১৫জুন অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অটো রিকশা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাদক ব্যবসায়ী শাহরিয়ার সবুজ
সাংসদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অসত্য, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ন শব্দ ও বাক্য প্রদান করে সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। যার অনুলিপি ইসি, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং অফিসার সহ স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের সরবরাহ করেছেন। যে শাহরিয়ার সবুজ’র আপন ভাই ফিরোজ একাধিকবার পুলিশ, র‌্যাব ও ডিবির হাতে বিপুল পরিমান মাদক ও ইয়াবা সহ আটক হয়। যা দেশের প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়।

উল্লেখ্য ধূলাসার ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত শাহরিয়ার সবুজ অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দল থেকে বহিস্কারের পর থেকে তিনি চরমোনাই-বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের সাথে গোপন আতাঁতে আ’লীগের প্রার্থী ও স্থানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন ও ইসির কাছে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।