পরিত্যক্ত কালভার্টে কলেজছাত্রীকে দলগত ধর্ষণ

কোচিং থেকে ফেরার পথে এক কলেজ ছাত্রীকে ব্যস্ত স্টেশনের অদূরে তিন ঘণ্টা ধরে দলগত ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভোপালের হাবিবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার বাবা চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুরো ঘটনাকে চলচ্চিত্রের কাহিনির মতো সাজানো ঘটনা বলে চালানোর চেষ্টা করেন সাব-ইন্সপেক্টর আরএন টিকাম।

পুলিশের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা ধর্মেন্দ্র সিং জানান, এ ঘটনায় আরএন টিকামকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযোগ নিতে ১১ ঘণ্টা দেরি করায় তাকে এ ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভোপালের ওই তরুণী প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার জন্য হাবিবগঞ্জ রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন। স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই তার পথ আগলে দাঁড়ায় গোলু বিহারী।

তারপর ওই তরুণীকে টেনে-হিঁচড়ে অন্ধকার গলিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তরুণী গোলুকে লাথি মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ওমর ঘণ্টু এসে তাকে ধরে ফেলে।

দু’জনে মিলে তরুণীকে একটি পরিত্যক্ত কালভার্টের কাছে নিয়ে যায়। ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে থাকেন ওই তরুণী। চিৎকার করতে থাকেন কারও সাহায্যের আশায়।

তার মুখ বন্ধ করে দিতে পাথর দিয়ে তরুণীর মাথায় আঘাত করে গোলু ও তার সঙ্গী। তার পর তরুণীর হাত-পা বেঁধে দু’জনে ধর্ষণ করে।

এখানেই শেষ নয়। ঘণ্টুকে পাহারায় রেখে সিগারেট কিনতে যায় গোলু। ফিরে আসার পর তার কাছে পরার জন্য পোশাক চান তরুণী। কাছেরই এক বস্তিতে গোলুর বাড়ি। সেখান থেকে তরুণীর জন্য পোশাকও নিয়ে আসে সে।

কিন্তু বিধিবাম। এতোকিছুর পরেও পোশাক পরে ফিরে যেতে পারেননি তিনি। ইতোমধ্যেই গোলুদের সঙ্গে আরও দু’জন যোগ হয়। এর পর চার জন মিলে রাত ১০টা পর্যন্ত পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তরুণীকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় চারজনেই।

যাওয়ার সময় তরুণীর মোবাইল, ঘড়ি এবং গয়নাও ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। পরে হাবিবগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশ চৌকিতে কোনো রকমে পৌঁছান তিনি। মা-বাবাকে সেখানে মুঠোফোনে কল করে আসতে বলেন।

কিন্তু প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতেই চায়নি। তাদের অন্য থানায় যেতে নির্দেশ দেয়া হয়। চলচ্চিত্রের কাহিনির মতো সাজানো ঘটনা দাবি করে তরুণীকে হেনস্থার চেষ্টাও করেন সাব-ইন্সপেক্টর আরএন টিকাম। পরে সাময়িকভাবে বহিষ্কার হয়েছেন তিনি।

গোলু ও ঘণ্টুকে ধরে নিয়ে থানায় তরুণীর পরিবার থানায় হাজির হয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তার পরেই পুলিশের টনক নড়ে।

সূত্র : এনডিটিভি