পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে পেট কেটে গেছে কৃষকের

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর এলাকায় সিদ্দিক নামে এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা।ধারালো অস্ত্রের কোপে তার পেট কেটে গেছে। পেট থেকে যাতে নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে আসতে না পারে সেজন্য প্রথমে পেট চেপে ধরে ও পরে পেট বেধে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশালে এবং বরিশাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার গুরুতর জখম সিদ্দিকুর রহমানের পেটে অস্ত্রোপাচার সম্পন্ন হয়েছে। বিকাল ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে এ অস্ত্রপাচার চালানো হয়।

এছাড়াও সিদ্দিকুর রহমানের সাথে মটর সাইকেলে থাকা ওমর ফারুকের একটি হাত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।আহত ওমর ফারুক বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-বেতমোর (৩ নং ওয়ার্ড) এলাকার মৃত আমিরের ছেলে বাবুল, বাবুলের ছেলে আরিফ, হেলাল মিয়ার ছেলে রাজু, এবং রশিদের ছেলে জসিম।বাবুলের ভাই লিটনকে ১ নং আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, গত সংসদ নির্বাচনে লিটন ও তার লোকজন ঈগল প্রতীকের সমর্থক ছিল।অপরদিকে আহত সিদ্দিক, ওমর ফারুক ও তাদের লোকজন কলার ছড়ি প্রতীকের সমর্থক ছিল। এ নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একের পর এক হামলা মামলা লেগেই আছে।

ঘটনার দিন লিটন ১৬/১৭ জন লোক নিয়ে মক্কা বেকারির সামনে ওৎ পেতে থাকে। মোদাচ্ছের মেম্বারের ছেলে আলমগির মটর সাইকেল চালিয়ে সিদ্দিক ও ওমর ফারুককে নিয়ে বেতমোর বাজার থেকে বাড়িতে আসার সময় লিটনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।

তবে লিটনের পরিবারের দাবি,ঘটনার সময় লিটন বেতমমোর বাজার সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইফতার মাহফিল শেষে বাজারেই অবস্থান করছিল। এ ঘটনাার সাখে লিটন ও তার লোকজন আদৌ জড়িত নয়।স্থানীয়দের দাবি, বেতমোর ৩ নং ওয়ার্ডের মোদাচ্ছের মেম্বারের ছেলে আলমগীর একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী।তার জন্য এলাকায় মারামারি লেগেই আছে। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে। আলমগীরকে ক্রোসফায়ারে দেওয়ারও দাবি জানান তারা।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আলী রেজা জানান, এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। মামলা তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।