ফরিদপুরে আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের তুলকালাম

ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খামিনারবাগ গ্রামে লাগা এ সংঘর্ষ পৌর সদরসহ আশ পাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে কাজী জাফরউল্লাহর সমর্থকদের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও ১০ ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। আহতদের ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে বাকি মেম্বারের বাড়িতে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ফিডার সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে একই এলাকার খামিনার বাগ গ্রামে ফরিদপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহিন সেকের ছোট ভাই নুর আলমের বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজী জাফরউল্লাহ যোগ দেন। উভয়ের গাড়িবহর ফিডার সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মীদের ভেতর থেকে কেউ বাজে মন্তব্য করে স্লোগান দেয়। বিষয়টিতে তাৎক্ষণিক কেউ প্রতিবাদ না করলেও দুই নেতা এলাকা ত্যাগ করার পর উভয় দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের কর্মীদের আহত করার প্রতিবাদে দক্ষিণাঞ্চলের চৌরাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ ঘটনায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ মোতয়েন থাকলেও পরিবেশ থমথমে।

সংঘর্ষ চলাকালে ঘারুয়া বাজারে উভয় গ্রুপের দুইটি নির্বাচনী প্রচার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পৌর সদরে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যা থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা হাসপাতাল গেট ও ঢাকা-খুলনা বিশ্বরোডের পৌরসভা ভবনের সামনের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।

অপরদিকে এমপি মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের হাজারো সমর্থক শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেয়। প্রায় ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ থাকায় রাস্তার চারদিকে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে রাত ৮টায় সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করাতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাঈদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ মোতায়েন করি। উভয় গ্রুপের সমর্থকরা শক্ত অবস্থানে থাকায় দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধ ছিল। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সড়ক অবরোধ প্রতাহার করাতে সক্ষম হই।