বগুড়ার শিবগঞ্জে গৃহবধু‚ নিখোঁজের ঘটনায় মারপিট ও বসতবাড়ি ভাংচুর!

বগুড়ার শিবগঞ্জে এক গৃহবধ‚ নিখোঁজের বিষয়ে বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মারপিটে নারীসহ ৪জন আহত হয়।

গত শনিবার রাতে এই মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে তোজাম্মেল মন্ডল। এর আগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ফেনিগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

মারপিটে আহত আঃ গফুর, তাজেদুল ইসলাম, ফেরদৌসী বেগম ও তারেক রহমান শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে তাজেদুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ স‚ত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ঐ গ্রামের এক গৃহবধ‚ উধাও এর ঘটনায় দায়ী করা হয় বাদী তোজাম্মেলের ছেলে আহসান হাবীবকে। এ ঘটনার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে তোজাম্মেলের বাড়িতে এসে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃতঃ আফজাল প্রামাণিক এর ছেলে এনামুল, জাকিরুল, আনারুল, মৃতঃ আঃ খালেকের ছেলে শহিদুল, ওবায়দুল, শহিদুলের ছেলে মিলন, মৃতঃ খয়বরের ছেলে ওয়াহেদ, আওয়াল, ওয়াহেদের ছেলে হেলাল, মৃতঃ জলিলের ছেলে রাশেদুল ও আশরাফুল হামলা চালায়।

তারা তোজাম্মেলের ছোট অপর দুই ছেলে তারেক রহমান, তাজেদুল ও তোজাম্মেলের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে মারপিট করে। এসময় ফেরদৌসীকে শীলতাহানী করা হয়। এসময় বাড়িঘর ভাংচুরও করা হয়। ৯৯৯এ ফোন পেয়ে পুলিশের সহায়তায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।

এবিষয়ে বাদী তোজাম্মেল বলেন, আমার ছেলে আহসান হাবীব রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়। পরবর্তিতে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। প্রতিপক্ষের স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে প্রায় ১লক্ষ ৩০হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। আমার ছেলে ও স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে। প্রতিকার পেতে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

এবিষয়ে প্রতিপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক কুমার দাস বলেন, মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।