বঙ্গোপসাগরে গত তিন দিনে ৬ ট্রলার ডুবি,উদ্ধার শতাধিক জেলে

কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে গত তিন দিনে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে অন্তত ৬ টি মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে । তবে নিমজ্জিত ট্রলারগুলোতে থাকা ১১২ জেলেকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও ১ জেলে রবিউল এখোনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া মাছধরা সরঞ্জামসহ ট্রলারগুলোর কোন হদিস পাওয়া যায়নি। সমুদ্র বক্ষে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে আকস্মিক উত্তাল ঢেউয়ের তান্ডবে এসব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। এছাড়া ৬ ট্রলার ছাড়াও আরও বেশ কিছু মাছধরা ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি সাগর থেকে তীরে ফেরা জেলেদের। এদিকে মৎস্য বন্দর সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা বলছেন, সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণ যাত্রায় দুর্যোগকালীন আবহাওয়ায় অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, আকষ্মিক ঝড়ে মহিপুর বন্দরের ১টি,আলীপুর বন্দরের ১টি,বরগুনার নলী এলাকার ১টি, কক্সবাজার,বাশখালী ও চট্রগ্রামের একটি করে ট্রলার নিখোঁজ রয়েছে। তবে এসব নিমজ্জিত ট্রলারের জেলেদের ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

সাগর থেকে ঝড়ের কবলে পড়ে উপকূলে ফিরে আসা একাধিক জেলে জানান, হঠাৎ সাগরে ঝড়ো বাতাস শুরু হয়। এ সময় জেলেদের প্রস্তুতি না থাকায় বেশকিছু মাছধরা ট্রলার সাগরে নিমজ্জিত হয়। এফবি বিসমিল্লাহ নামে ডুবে যাওয়া ট্রলারের জেলে জালাল আহমেদ উদ্ধারের পর তীরে ফিরে জানান,এফবি ভাইভাই নামের একটি মাছধরা ট্রলারে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় সাগরে অন্তত ৪টি মাছধরা ট্রলার ভাসতে দেখেছেন। তার ধারণা এই ঝড়ে কুয়াকাটা সংলগ্ন সমুদ্রে অন্তত ১০/১২টি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। ফলে সেইসব মাছধরা ট্রলারে থাকা জেলেদের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, বঙ্গোপসাগরসহ চরবিজয়ের এক নং বয়া ও আন্ধারমানিক নদীর মোহনায় এলাকায় এ ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলার এফবি ঝুমাইশা মনি, এফবি আল্লাহর দান, এফবি মা—বাবার দোয়া, এফবি বিসমিল্লাাহ, এফবি বিশ্বাস এবং এফবি দিদার নামে ৬ টি মাছধরা ট্রলারের ১১২ জেলের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভাষ্যমতে আকস্মিক এই ঝড়ে অন্তত ৫০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেও তার ধারণা। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এ পর্যন্ত ৬টি ট্রলার ডুবির সংবাদ পেয়েছি।

এসব ট্রলারে থাকা শতাধিক জেলেদের উদ্ধার করা হলেও জেলে রবিউলের সন্ধান মেলেনি। তিনি জানান, নিমজ্জিত ট্রলারগুলো উদ্ধারে উর্ধতন কতৃর্পক্ষকে জানানো হয়েছে। একই সাথে মৎস্য বন্দরের জন্য সরকারের কাছে উদ্ধারযান চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।