বাগেরহাটের শরণখোলায় শিশুর আত্মহত্যা

বাগেরহাটের শরণখোলায় ইয়াছিন গাজী(১৩) নামের এক শিশু আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ আগষ্ট ১১ টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কদমতলা গ্রামের রফিকুল গাজীর পুত্র ও কদমতলা মোহসিনিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন গাজী গত ১৪ আগষ্ট দুপুরে বন্ধু ইসার মৃত্যুর খবর শুনে কিছুটা বিমর্ষ হয়ে পড়ে। তার মা খাদিজা বেগম জানায়, তার ছেলে ইয়াসিন রাতে খাবার খেয়ে যথারিতি ঘুমিয়ে পড়ে এবং সকালে উঠে নাস্তাও করে। গত ৩ বছর ধরে টনসিল সমস্যায় ভুগছিল। তার জন্য ১৫ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে দুধ গরম করে খাওয়ানোর জন্য খোঁজাখোজি করে না পেয়ে কাঠের ঘরের দোতালায় উঠলে বরেঙ্গার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে হাউমাউ করে কান্না শুরু করে। তার কান্নার শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ নিয়াজ আহম্মেদ ফয়সাল তাকে মৃত ঘোষণা করে। ডাঃ আরও জানান, হাসপালে পৌঁছার আগেই ইয়াসিনের মৃত্যু ঘটেছে। তবে তার মা খাদিজা বেগম সঠিক করে বলতে পারছেন না কেন তার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য খায়রুল ইসলাম।

শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসর ইনচার্জ(তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। তিনি বলেন তার গলায় দড়ির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। তবে খেঁাজখবর নিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হবে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম শামীম বলেন, একই মাদ্রাসার দুই ছাত্রের আত্মহত্যার বিষয়টি কিছুটা অবাক হওয়ার মত। তবে খেঁাজখবর নিয়ে তিনি বিষয়টির আসল রহস্য জানার চেষ্টা করবেন।