সাগরে মৎস্য শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা

প্রজনন সহ সামুদ্রিক মৎস সম্পদ বৃদ্ধির জন্য ২০ মে হতে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সমুদ্র সীমায় ইলিশ সহ সব ধরনের মাছ আহরণ ও বিপনন নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়। তবে, বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের জলসীমায় মাছ ধরা বন্ধ না হওয়ায় ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে অবাধে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ জেলেদের।

উপজেলা মৎস বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটের শরণখোলায় তালিকাভুক্ত মোট জেলের সংখ্যা ৬৭৫২ এর মধ্যে সমুদ্রগামী জেলে ৩ হাজার। ৬৫ দিনের মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তার ইতিমধ্যে বরাদ্ধ এসেছে ৩ হাজারের।

শরণখোলা উপজেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় আমাদের জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে না পারায় ভারতীয় জেলেরা সেই সুযোগে মাছ ধরে নিয়ে যায়। এছাড়া সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় “মোখা”র কারনে জেলেরা মাছ ধরতে না পারায় অনেকেই মহাজনের কাছে ঋণগ্রস্থ হবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। তাছাড়া ভারত ও বাংলাদেশে একই সময়ে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার দাবী জানান তিনি।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, শরণখোলায় মোট জেলে সংখ্যা ৬ হাজার ৭৫২। এদের মধ্যে সমুদ্রগামী জেলে সংখ্যা ৩ হাজার। ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে জেলেরা ২ কিস্তিতে জনপ্রতি ৮৬ কেজি করে চাল পাবেন। গত ১৫ মে তাদের বরাদ্ধকৃত চাল এসে পৌঁছেছে। আগামী সপ্তাহে ইউনিয়ন ব্যাপী তালিকা করে চাল বিতরণ করা শুরু হবে। এছাড়া প্রজনন কালীন সময় যাতে জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে না যায় সে জন্য প্রচার প্রচারণা অব্যহত রয়েছে।

মৎস কর্মকর্তা আরও বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময় ভ্রাম্যমান আদালত সহ তাদের টিম বলেশ্বর নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যহত রাখবেন।

এ ব্যাপারে মোংলা কোষ্ট গার্ডের পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ এইচ,এম,এম হারুন অর রশিদ বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময় বঙ্গোপসাগরসহ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ ও খালে তাদের অভিযান অব্যহত থাকবে।