সিলেটে শীতের আমেজ সন্ধ্যা ও ভোরে ঘন কুয়াশা

সিলেট শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে। সন্ধ্যা ও ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় নগর সহ গ্রামাঞ্চল।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) থেকে সিলেট জুড়ে ঘন কুয়াশা পড়েতে দেখা যায়। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ২৩ অক্টোবর (সোমবার) বৃষ্টি হয় ওই দুই দিন আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। বৃষ্টি কমে যাওয়ার পর সিলেট নগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আবহাওয়ার ট্রানজিশন পিরিয়ড চলছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের অনুভূতি হলেও পুরোপুরি আমেজ শুরু হবে নভেম্বরের শেষ দিকে। শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মাস। দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর বর্তমানে দেড় মাসের হেমন্ত ঋতুর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এছাড়া দেশে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল দিয়ে শীত প্রবেশ করবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘ভারি বর্ষণের ফলে সারা দেশে শীত শীত অনুভূতি হচ্ছে। শীত আসতে এখনও মাসখানেক সময় লাগবে। আমাদের দেশে মূলত ডিসেম্বরে শীত শুরু হয়। সেক্ষেত্রে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শীতের আভাস শুরু হতে পারে। আমাদের অবজারভেশনে এখন পর্যন্ত শীতের কোনো চিত্র আসেনি। মূলত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে দেশে ভারি বৃষ্টি হয়েছে, তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। এর ফলে শীতের মতো মনে হচ্ছে।’

তিনি বলেন, দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে ২০ অক্টোবর। এই মৌসুমি বায়ুর বিদায় এবং শীতের মাঝামাঝিতে যেই সময়টা বিরাজ করে তাকে হেমন্তকাল বলা হয়। মূলত দেড় মাসের মতো হেমন্তকালের আবহাওয়া বিরাজ করবে, এরপর শীতকাল শুরু হবে। গ্রীষ্মকাল ও বর্ষাকালের তুলনায় হেমন্তকালে তাপমাত্রা কম থাকে। দীর্ঘদিন গরম তাপমাত্রায় থাকার পর হঠাৎ এখন কম তাপমাত্রা পাওয়ায় মানুষের কাছে শীত মনে হচ্ছে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ।