সৌর বিদ্যুতের আলোয় যশোরের রাজগঞ্জের গ্রামীণ জনপদে শহরের ছোয়া

সৌর বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের গ্রামীণ জনপদ। বিদ্যুতের উপর চাপ কমাতে রাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, রাস্তার পার্শে ও ক্রাইম পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে সৌর বিদ্যুতের স্ট্রীট লাইট।

সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে সংক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠছে এসব বাতি। আবার সকাল হলে সংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে চাপ কমছে বিদ্যুতের। লোডশেডিংয়ের ঝামেলা না থাকায় এ সড়কবাতি গুলো একটানা আলো দেয় সারা রাত।
এ আলোর ফলে এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই আগের তুলনায় অনেক কমেছে। বললেন এলাকাবাসি। পাল্টে গেছে রাজগঞ্জের গ্রামীণ জীবনমান। গ্রামের মানুষের জীবনেও শহরের ছোয়া লেগেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার অঙ্গীকার রাজগঞ্জে বাস্তব রূপ লাভ করছে।

সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে- সন্ধ্যার সাথে সাথে গ্রামীণ রাস্তায় রাস্তায় জ্বলছে সৌরবাতি।

স্থানীয়রা জানান- আমাদের দেশে সাধারণত শহরের রাস্তায় বাতি দেয়া থাকে। এখন গ্রামের মানুষও সেই সুবিধা পাচ্ছে। এতে আমাদের খুব ভালো লাগছে। জ্বলছে গ্রামের অন্ধকার সড়কে বাতি। ফলে পাল্টে গেছে গ্রামের মানুষের জীবনমান। ভয়, আতংক না নিয়ে রাস্তায় চলাচল করা যায় এখন। যেনো শহরের ছোয়া লেগেছে গ্রামেও।

রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সামছুল হক মন্টু বলেন- চুরি, ডাকাতি ছিনতাই রোধে মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে (যেখানে মানুষের চলাচল রয়েছে) বসানো হয়েছে সৌরবিদ্যুত চালিত সড়কবাতি।
তিনি বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের ঘরে ঘরে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌছে দেয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। সেটি বাস্তবায়নের জন্যই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সৌর বিদ্যুতের বাতি বসানো হয়েছে। গ্রামের মানুষ এতোদিন সড়ক বাতির সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো। তখন সন্ধ্যা হলেই গ্রাম গুলো ভূতুরে পরিবেশ তৈরি হতো। আতংকের মধ্যে চলাচল করতো মানুষ। কিন্তু এখন সেই পরিবেশ নেই। সৌরবাতি বসানোর ফলে রাতের আঁধারে মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারছে। গ্রামের মানুষের জীবনে শহরের ছোয়া লেগেছে।