হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে ভারতের সরিষা

প্রথমবারের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সরিষা আমদানি করা হয়েছে। দেশের বাজারের সরিষার তেলের চাহিদা মেটাতে মূলত বিভিন্ন স্থানের অয়েল মিলগুলো এসব সরিষা আমদানি করছে বলে জানিয়েছেন আমদানি কারকরা।

স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে চলতি বছরের ১৪ই মার্চ প্রথমবারের মতো ভারত থেকে সরিষা আমদানি শুরু হয়। ভারতের রাজস্থান থেকে এসব সরিষা আমদানি করা হচ্ছে। গাইবান্ধার মামা ভাগনা অয়েল মিল ও জামাই ভ্যারাইটি স্টোর এসব সরিষা আমদানি করছে। প্রতিটন সরিষা এক হাজার ৫০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে এক হাজার ৮০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে। বন্দর দিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮৭ টন সরিষা আমদানি হয়েছে। এসব সরিষা দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।

সরিষা আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহমেদ কবির বাবু বলেন, বন্দর দিয়ে আগে সরিষা না এলেও সম্প্রতি হিলি দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারত থেকে সরিষা আমদানি করেছেন আমদানিকারকরা। দেশে সয়াবিন তেলের ঊর্ধ্বমুখী অবস্থার কারণে সরিষার তেলের ওপর চাপ বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত উৎপাদন না হওয়ায় ও দাম বেশি থাকায় চাহিদা মেটাতে আমদানিকারকরা এই সরিষা আমদানি করছেন। যতদিন পর্যন্ত দেশের বাজারে এই সরিষার চাহিদা থাকবে ততদিন পর্যন্ত সরিষা আমদানি অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। তবে বর্তমানে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে বলে জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।

হিলি স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা এসএম নুরুল আলম খান বলেন, হিলি দিয়ে সম্প্রতি ভারত থেকে সরিষা আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে সরিষা আমদানি করা হচ্ছে। যেহেতু এটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, তাই বন্দরে আসামাত্র দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে নতুন করে সরিষা আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে বন্দরের দৈনন্দিন আয় যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় আগের তুলনায় বেড়েছে।