কুয়াকাটার সৈকতে প্রায় ১৩ ঘন্টা পর সমুদ্রে নিখোঁজ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার

প্রায় ১৩ ঘন্টা পর কুয়াকাটার সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ থাকা কিশোর নাবিলের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে সৈকতের গঙ্গামতি পয়েন্ট এলাকায় মরদেহটি ভাসমান অবস্থায় দেখে উদ্ধার করেন স্বজনেরা।

এর আগে বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে সৈকতের গঙ্গামতি পয়েন্টে গোসলে নেমে স্রোতের টানে আপন বড় ভাইয়ের হাত থেকে ছুটে নিখোঁজ হন এই কিশোর। পরে স্থানীয় ডুবুরি দলের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস সিভিল স্টেশন ও পটুয়াখালী থেকে আগত ডুবুরি দল কয়েক দফা উদ্ধার অভিযান চালায়। কিন্তু সমুদ্র তীরে প্রচন্ড ঢেউ এবং নিয়ন্ত্রণহীন স্রোতের কারণে নিখোঁজের হদিস পাননি উদ্ধারকারিরা।

এদিকে পুত্রশোকে কাতর মায়ের আহাজারি দেখে অশ্রুসিক্ত হচ্ছেন সাগর পারের মানুষ।এছাড়া স্রোতের মাঝে সহোদর ছোটভাইকে আগলে রাখতে না পেরে বার বারই মুর্ছা যাচ্ছেন
বড় ভাই সিয়াম। আর অতি আদরের নাবিলকে এক নজর দেখতে গভীর রাতে সমুদ্র পাড়ে ভিড় করেছেন স্বজনরা।

নিখোঁজ নাবিলের মামা হানিফ গাজী জানান,২০০৭ সালে মৃত্যু হয় তার স্কুল শিক্ষিকা বোনের স্বামী বজলুর রহমানের। এর পরে দুই সন্তানকে আগলে রেখে বড় করছিলেন তার মা। কিন্তু এই ঈদে দুই সন্তানকে নিয়ে তার বাড়িতে বেড়াতে আসেন বোন জয়নব। ঈদের দ্বিতীয় দিন সকালে তার ছেলে মাসুম এবং সাইমুমকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় বোনের দুই ছেলে। পরে সাগরে গোসলে নেমে স্রোতের টানে ভেসে যায় ছোট ভাগ্নে নাবিল। এখন কিছু সময় আগে আমার ভাগ্নের লাশ একই স্থানে পাওয়া গেছে যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিল।

মহিপুর থানার ওসি ফেরদাউস আলম খান জানান, নিখোঁজের ১৩ ঘন্টা পর স্বজনরা নাবিলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় পেয়েছে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।