ঠাকুরগাঁওয়ে পেঁয়াজ বীজ বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদনে ঝুঁকছেন কৃষকরা

ঠাকুরগাঁওয়ে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদিত হচ্ছে। বীজের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকদের মাঝে উৎপাদনে আগ্রহ বাড়ছে।

সদর উপজেলার ভূল্লী, আখানগর, রুহিয়া, ঢোলারহাটের বিভিন্ন গ্রামে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন লক্ষ্য করা গেছে এবং এসব এলাকার চাষিরা পেঁয়াজ বীজ তোলাসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

জমিতে পেঁয়াজ বীজ বপনের সময় নভেম্বর মাসে। বীজ পরিপক্ব হতে সময় লাগে চার মাসের অধিক।

বেসরকারি একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে চলতি মৌসুমে আখানগর ইউনিয়নের ফেলানপুর গ্রামের মো. মজির উদ্দিন দেড় একর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছেন।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করে কোম্পানি, আর উৎপাদন করতে হয় নিজ খরচে। পুরো জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন করতে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। উৎপাদন শেষে তারাই কিনবে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতি শতাংশে ৫-৬ কেজি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন হবে। দেড় একর জমিতে প্রায় ৮ লাখ টাকা বীজ বিক্রির আশা করেন চাষি মজির উদ্দিন।

তিনি আরও জানান, বাজারে দর থাকায় তার কাছে পেঁয়াজ বীজ সোনা চাষের মতো। গেল বছর প্রতি বিঘা জমিতে দেড় লাখ টাকা করে লাভ করেছেন। চলতি বছর কিং জাতের বীজ রোপণ করেছেন বর্তমানে ভালো আবহাওয়ায় ক্ষেতের দেড়গুণ ফলন ও লাভের আশা করছেন তিনি।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, পেঁয়াজ একটি মশলা জাতীয় ফসল এই ফসল গুরুত্বপূর্ণ এবং দাম ভালো পাওয়ার আশায় কৃষক পেঁয়াজ বীজ চাষে আগ্রহী। এবছর আখানগর ইউনিয়নে প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করা হয়েছে। আমরা সর্বদায় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষ্ণ চন্দ্র রায় জানায়, চলতি বছর উপজেলায় বেসরকারি বীজ উৎপাদনকারী কোম্পানি গুলোর আওতায় পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হয়েছে ১৬ হেক্টর জমিতে। তিনি আরও বলেন, কৃষি ‘অফিস থেকে চাষিদের সবসময় সঠিক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।