বগুড়ার শিবগঞ্জে কৃষকেরা লালশাক চাষে ঝুঁকেছে

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় লাল শাক চাষে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন বুনছে কৃষকেরা। এতে সফল হলে বদলে যাবে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। একসময় শুধু ইরি-বোরো ও আমন চাষের পাশাপাশি প্রচলিত কিছু শাক-সবজি চাষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল এ অঞ্চলের কৃষিকাজ। কিন্তু এখন আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লাল শাক আবাদ করছে কৃষকেরা। অল্প সময়ে স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভ করা যায় বলে কৃষকেরা লাল শাক চাষে ঝুঁকছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সৈয়দপুর, মোকামতলা, দেউলী, ময়দানহাট্টা ও শিবগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষকেরা কমবেশি লাল শাক চাষ করছে। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রতি রবি মৌসুমে ৭০০ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের সবজির আবাদ হয়।

উপজেলার সাদুল্যাপুর গ্রামের লালশাক চাষি লিটন মন্ডল জানান, এবার তিনি ১৮শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে হাইব্রিড জাতের লাল শাক চাষ করেছেন। প্রতিবার দেড় কেজি বীজ ৪০০টাকা, মিশ্রসার ৩০০টাকা ও সেচ খরচসহ মোট খরচ হয় এক হাজার টাকা । এক মাসের মধ্যে এ ফসল বিক্রি করা যায়। তিনি আরও জানান, প্রতিবাবে প্রায় ৪হাজার টাকার শাক বিক্রি করা সম্ভব। সে হিসেবে বছরে ৫বার ২০-২৫হাজার টাকার লাল শাক বিক্রি করা সম্ভব।

শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার জানান, শিবগঞ্জ উপজেলার জমিগুলো সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানকার চাষিরা লালশাকসহ বিভিন্ন বিষমুক্ত সবজি চাষের ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ। এ কারণে এলাকার চাষিরা উন্নত কৃষি প্রযুক্তির আওতায় সবজি চাষ করে গ্রামীণ অর্থনীতিতে নতুন মাত্রার যুক্ত করছে।