বিদেশীরা মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশেই ব্যস্ত যে দেশে যাওয়ার দরকার সে দেশে যায় না -শিবচরে চীফ হুইপ লিটন চৌধুরী

চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, ঢাকার শহর ভরে গেছে বিদেশীরা এতেই প্রমানহয় বাংলাদেশে উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের অবস্থা ভাল হয়েছে বলেই অন্যান্য দেশ আমাদেরকে নিয়ে চিন্তা করে। আর যদি আমাদের অবস্থা খারাপ থাকতো তাহলে কিন্তু তারা আমাদেরকে নিয়ে চিন্তা করতো না। তারা যদি সত্যি মানবাধিকারের কথা ভাবতো তাহলে তারা মায়ানমার যেতো। যেখান থেকে ১২ লাখ মুসলমানকে তাড়ানো হয়েছে। যেখানে এখনো মানুষ বসবাস করতে পারেনা। তারা যদি মানবাধিকারের কথা নিয়েই মাঠে আসতো তাহলে তারা পাকিস্তান যেতো। যেখানে এখন গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই। তারা কিন্তু সেই সব দেশে যাচ্ছে না। তারা আমাদের দেশে আসছে কারন আমরা এখন সারা পৃথিবীর একটি বড় মার্কেটে চলে গেছি। আমাদের এখন অনেক ক্রয় ক্ষমতা।

১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে উপজেলা পরিষদের নূর-ই-আলম চৌধুরী অডিটোরিয়ামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরন এবং মা শিশু সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় পৌরসভার উপকারভোগীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন অনুষ্ঠানে চীফ হুইপ এসব কথা বলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আঃ লতিফ মোল্লার সভাপতিত্বে এসময় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পৌরসভার মেয়র মো: আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল ইসলাম ,উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ শাজাহান মোল্লা,সাধারন সম্পাদক ডা ঃ মোঃ সেলিম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

চীফ হুইপ আরো বলেন, আমরা এখন বিদেশ থেকে অনেক কিছু আমদানিও করি আবার অনেক কিছু রপ্তানিও করি। আমরা এখন শক্তিশালী জাতী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই জায়গাটিতে নিয়ে গেছেন বলেই আজকে আমরা এটি দেখি। আজকে বিএনপিসহ বিভিন্ন লোকজন যে মানবাধিকারের কথা বলে। মানবাধিকারের কথা যদি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পরে বলা হতো তাহলে বোঝা যেতো হ্যা আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধর মত জাতীর পিতাকে হত্যার পরে তারা মানবাধিকারের কথা বলেছে। তারা মানবাধিকারের কথাতো বলেইনি বরং যারা খুনি ছিল তাদেরকে অনেক দেশ আশ্রয় দিয়েছে। এখনো তিাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর অনেক খুনিরা আছে। ২১ আগষ্ট হত্যাকান্ডের পরে কিবরিয়া সাহেবসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে ধরে হত্যা করা হয়েছে। তখনতো কেউ মানবাধিকারের কথা বলে বাংলাদেশে আসেনি।

বিএনপি আমলে যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার রায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল তখনতো মানবাধিকারের কথা বলে নাই। এদেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে , বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা হচ্ছে তখন মানবাধিকারের কথা বলা হচ্ছে। এখন আবার পুরানো বন্ধুরা এক হয়ে নড়েচড়ে বসেছে। কারন তারা দেখেছে শেখ হাসিনা যেটা বলে সেটা করে।