লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পোল্ট্রি খামারের সফল নারী উদ্যোক্তা বিউটি

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবি গ্রামের মাজার এলাকার নারী উদ্যোক্তা আশফেকুন্নাহার বিউটি।তিনি ইউটিউব থেকে ধারনা নিয়ে ২০ হাজার টাকার পুঁজি দিয়ে স্বামীর সহযোগিতায় গড়ে তোলেন পোল্ট্রি খামার।

বর্তমানে তিনি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। নিজ উদ্যোগে শুরু করা ওই পোল্ট্রি খামার থেকে প্রতিমাসে গড় আয় আসে ৫০ হাজার হতে ৫৫ হাজার টাকা। বহুতল ভবনের নিচ তলায় তার এ খামারটি। মেয়েরা সংসারে এখন আর বোঝা নয়, তারাও বাড়িতে পরিকল্পনা করে এ ধরনের পোল্ট্রি খামার দিয়ে বাড়তি আয় দিয়ে সংসারে আয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। তার এ পোল্ট্রি খামার এলাকার অন্যান্য বেকার যুবক যুবতীদের পোল্ট্রি খামার করে বাড়তি আয় করার সুযোগ সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করছে।

বিউটি বলেন, তার স্বামী মনিরুজ্জামান একজন সরকারী চাকুরীজীবী। তার অর্জিত আয় দিয়ে কোনমতে সংসার চলে।ছেলে মেয়ে বড় হচ্ছে। তাদের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পরবর্তীতে হিমশিম খেতে হতে পারে। এ ধরনের চিন্তা ভাবনা থেকে বাড়তি আয় করার জন্যই পোল্ট্রি খামার করার উদ্যোগ নেন। ইউটিউব থেকে প্রাথমিক ধারনা নিয়ে ২০ হাজার টাকার পুঁজি নিয়ে শুরু করেন পোল্ট্রি খামার।বর্তমানে তার উদ্যোগ পোল্ট্রি খামারটি সফলতায় রূপ দিয়েছে। সেখান থেকে প্রতিমাসে গড়ে আয় আসছে ৫০ হতে ৫৫ হাজার টাকা। যা দিয়ে পরিবার পরিজনদের ভরণ পোষণ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া ও বাড়িঘর করার কাজে ভূমিকা রাখছে।

বর্তমানে তার খামারে ৫০০টি মুরগী ও ১৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। তিনি আরো বলেন, চাকুরী নামের সোনার হরিণের পিছনে না ঘুরে পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। এতে বেকারত্ব ঘুচবে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়। তিনি শিক্ষিত যুবক যুবতিদের পোল্ট্রি খামার করার আহবান জানান। তার এ পোল্ট্রি খামার করে কিছুটা হলেও দেশের মুরগি ও কবুতরের মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করছে। বিউটির নিজ উদ্যোগে গড়ে তোলা পোল্ট্রি খামারের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারলে আগামীতে আরো ভালো করবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।বিউটি সঠিক পদ্ধতিতে পোল্ট্রি খামার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা পশু ও প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মাহমুদুল হাসান বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা আশফেকুন্নাহার বিউটির পোল্ট্রি খামার বেকার যুবক যুবতিদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে। আমরা এ ধরনের উদ্যোক্তাদের নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকি।