শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কৃষককের মৃত্যু

বগুড়ার শিবগঞ্জে ২দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বসত বাড়ির জায়গা সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত কৃষক আনারুল ইসলামের (৫০) মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সকালে টিএমএসএস কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত কৃষক হুদাবালা গ্রামের মৃতঃ তুফানু’র ছেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঐ গ্রামের দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকৃতরা হলেন
চৌকিদার আবু বক্কর সিদ্দিক এর স্ত্রী রহিমা বেগম (৪৮) ও মাসুম এর স্ত্রী রুমা বেগম (২৪)।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি সকালে বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষের আঘাতে আনারুল ইসলামসহ ৩ জন আহত হয়।
নিহত কৃষকের ভাতিজি মুক্তা বেগম বলেন, আমার চাচাদের সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশী আখের কাজী ছেলে চৌকিদার আবু বক্কর সিদ্দিক, আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে রহিম, করিম, মোশারফ হোসেনের ছেলে মাসুম ও আবু তালেব এবং রেজাউলগংদের সাথে বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

গত ২২ জানুয়ারি সকালে প্রতিপক্ষরা হঠাৎ করে লাঠি-শোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জমি বেদল করার চেষ্টা করে। উক্ত সময়ে আমার চাচাসহ চাচাতো ভাইয়েরা প্রতিপক্ষদের বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষরা হামলা চালায়। এসময় আমার চাচা আনারুল ইসলামসহ ৩ জন আহত হয়।

আহতরা হলেন সাহাবুল ইসলাম, ইউসুফ আলী। পরে আমার চাচাকে মুর্মুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেয়। তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার পরামর্শ প্রদান করলে বগুড়া টিএমএসএস হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেয়। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, তার চাচাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, নিহতর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতর লাশ মর্মে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।