সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পান চাষীদের স্বস্তির নিঃশ্বাস

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দীর্ঘদিন পর পানের দাম বাড়ায় স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন পান বরজ চাষীরা। এখন পানচাষীদের মুখে হাসি ফুঠেছে।

করোনাকালীন সময় পানের দাম কম থাকায় পান চাষীদের চোখের ঘুম উড়ে গিয়েছিলো। মোটা অংকের খরচের বহর সামলে অতি স্বযত্মে আগলে রেখেছেন পানের বরজ। শত ধার দেনা করে অভাব অনটনকে উপেক্ষা করে নিজের সন্তানের মত করে লালন করে রেখেছেন পানের বরজ।

শীত মৌসুমে পান গাছের বৃদ্ধি খুব ধীর গতিতে বাড়ার কারণে পানের উৎপাদনও কম হয়। আর এই কারণে পানের দামও শীত মৌসুমে বৃদ্ধি পায়।

পান চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, শীত ও কুয়াশা পানের ব্যাপক ক্ষতি করে, পান পাকা, ঝরে যাওয়া, গাছের মাথা কুচড়ি মারা এমন নানা সমস্যার সম্মুখি হয়। তবে শত প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে কৃষকের পান রক্ষার কমতি রাখছেন না। শীত শুরুর সময়ে কুয়াশা থেকে রক্ষা করার জন্য বরজের চালের ছাউনি খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া, বরজের চারি পাশে পলিথিন দিয়ে আবদ্ধ করে দেওয়া যাতে শীতল বাতাস ও কুয়াশা ঢুকতে না পারে।

তারা আরো জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি শীত মৌসুমে পানের দাম একটু বৃদ্ধি পাওয়ায় পান চাষীদের কিছুটা হলেও স্বস্থি ফিরেছে। পানের বাজার দর বেড়েছে, ছোট পান বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি পোন ৩০/৪০ টাকা, মাঝারি ৫০/৬০ টাকা ও বড় ১১০/১৫০ টাকা।

জয়নগরের পান চাষী দীলিপ, শান্তি ও বিধান চন্দ্র জানান, তারা ২ বিঘা করে জমিতে পান চাষ করেছেন। গত দুই বছর ধরে পানের দাম এক নাগাড়ে কম থাকায় পান চাষীদের চরম প্রতিকুলতার সমূখীন হতে হয়েছে। ব্যয়বহুল এ চাষে লাভ্যাংশ না আসলে ধার দেনায় নিঃস্ব করে ফেলবে চাষীদের তাই তিনি মাননীয় কৃষি মন্ত্রির কাছে বিনিত আকুতি জানিয়েছেন যাতে সকল কৃষি পন্যের বাজার যেনো নিয়ন্ত্রণে রাখেন তাহলে কৃষি ও কৃষক দুইয়ের সুদিন আসবে।

তারা আরো জানান,কৃষকদের জন্য সহজ শর্তে ও ঝামেলা মুক্ত ঋনের ব্যবস্থা করেন তার জন্য বিনিত বিনিত আবেদন জানান তারা।

কৃষক কৃষ্ণ দাস জানিয়েছেন, তিনি ৩ বিঘা জমিতে পানের চাষ করেছেন, নানা প্রতিকুলতার মধ্যো দিয়ে ৩ বিঘা জমির পান বরজ আগলে রেখেছেন। ব্যয় বহুল খরচ, পানের বাজার মূল্য কম এর মধ্যো দিয়ে অতিযত্নে তিনি পান বরজকে সামলে রেখেছেন।
তবে পানের বাজার দর একটু বৃদ্ধি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

পান চাষীরা পানের বাজার দর বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

তারা কৃষি ঋন সহজ শর্তে ও ভর্তুকি পাওয়ার পাশাপাশি সকল কৃষি পন্যোর বাজার দরটি নিয়ন্ত্রণে রেখে কৃষি ও কৃষকদের দেনার দায় থেকে মুক্তির আকুতি জানিয়েছেন।