সিরাজগঞ্জে পাট জাগ দেওয়া ও ধোয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পাট চাষীরা

সিরাজগঞ্জে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, আঁশ ছাড়িয়ে পাট ধোয়া এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সময়মতো পাট কেটে বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিতে না পারলেও কয়েকদিন আগে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জলাশয়ে পানি জমে। সেই পানিতেই এখন পাট জাগ ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার তারা।

সরেজমিনে জানা গেছে, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় জেলার অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। এতে কৃষকরাও খুশি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা স্থানভেদে পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, পাট ধোয়া এবং হাটে-বাজারে বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে, নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট ছাড়ানোর কাজ চলছে।

কামারখন্দ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের পাটচাষী আব্দুল জলিল বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে জমি চাষ, বীজের দাম, বীজ বপন, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যার খরচ থাকে। আর পাট কাটা ও ধোয়ায় খরচ পড়ছে বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা। এ বছর পাটের দাম ভালো থাকায় আমরা লাভবান হয়েছি।

হুড়াসাগর নদীর পানিতে পাট ধোয়ার কাজ করেন খালেক বলেন, পাটের আঁশ ছাড়ানো ও ধোয়ার জন্য এক বেলা খাবারসহ দৈনিক ৪০০ টাকা পাই।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, এ বছর জেলার ৯ টি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে।

তিনি বলেন, ৯ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৬,৮৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বন্যার কারণে অর্জিত হয়েছে ১২,৩৬৪ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে তোষা পাট ১১,৭৭০ হেক্টর, মেস্তা পাট ৫৩৫ হেক্টর, দেশি পাট ১০৫০ হেক্টর, কেনাপ পাট ৩,৩৮৫ হেক্টর। তিনি আরও বলেন, যমুনা তীরবর্তী ৫ টি উপজেলা সহ চলনবিল অধ্যুষিতসহ তাড়াশ ও অন্যান্য উপজেলায় পাট জাগ দেওয়ায় কোনো সমস্যা হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় পানির অভাবে কিছু সমস্যা হলেও রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচানো হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কৃষকদের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।