চাঁদপুরের ইলিশ ভাষ্কর্যের পূর্ণাঙ্গ রূপ হতে আর কত দিন?

চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডের সেলফিজোনের ইলিশ ভাষ্কর্যের পূর্ণাঙ্গ রূপ কবে পাবে এ নিয়ে সচেতনমহল অপেক্ষার প্রহর গুনছে। কেননা এটি ছিলো জেলা ব্রান্ডিংয় পর্যটন কেন্দ্রের মূল আকর্ষণ। আর এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছিলো চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এবং চাঁদপুর পৌরসভার সহযোগিতায়।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, বড়স্টেশনের প্রবেশ পথেই প্রায় ২ শতাংশ জায়গা জুড়ে রয়েছে এই ইলিশ ভাষ্কর্য। যেখানে আনুমানিক ১২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি গোলাকার পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। আর এর উপরে বসানো হয়েছে প্রায় ১০ ফুট আকারের একটি মা ইলিশ ভাষ্কর্য।

জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের এই ইলিশ ভাষ্কর্যের নির্মাতা শিল্পী মোঃ আজাদ হোসেন মজুমদার পূর্বে জানিয়েছিলেন, এই সেলফি জোনের মা ইলিশ ভাষ্কর্যের অবকাঠামোগত ইট সিমেন্টের কাজ শেষ। এখন শুধু টাইলস আর রং করার কাজ বাকি।

তিনি আরো জানিয়েছিলেন, এই মা ইলিশ ভাষ্কর্যকে ঘিরে এর চারদিকে সেলফি জোনের সুন্দর্য বৃদ্ধিতে আরো থাকবে নানা রকমের আলোকসজ্জা। সেই সাথে জেলার ৮ উপজেলার উল্লেখযোগ্য প্রতিকী, ঝড়না, ফোয়ারা, সবুজ ঘাস, ইলিশ সম্পর্কিত নানান তথ্য। আর সম্পূর্ণ ভাষ্কর্যটির চারদিকে এস এস এর পাইপ দ্বারা বেষ্টুনি।

চাঁদপুরের সাংস্কৃতিমনা একাংশ জানায়, এই ইলিশ ভাস্কর্যটি গোলাকার পিলারের উপর দেওয়া বেমানান। পিলার না হয়ে এটি হতে পারতো একটি নারীর হাত!

ওই একাংশ আরো জানায়, ইলিশ মাছটি সোজা হয়ে যাওয়ায় এটিও বেমানান। এটি হতে পারতো লেজের দিকটি কিছুটা বাঁকা। আর সম্পূর্ণ ইলিশ মাছটি একটি হাতের উপর ধরা রয়েছে এই ধরনের। তবে ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো এমনটি দাবী করেন অনেকে।

সচেতনদের মতে, ইলিশের বাড়ী চাঁদপুরকে সমগ্র বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে নির্মাণ হচ্ছে এটি। যা এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় ইলিশ ভাষ্কর্য। মূলত চাঁদপুরের জাটকা ধরা রোধ করতে এবং বছরে একটি মা ইলিশ প্রায় ২০ লক্ষ ডিম দিতে পারে। এমন প্রতিকী অর্থই বহন করবে এই ইলিশ ভাষ্কর্য।

খবর নিয়ে জানা যায়, মূলত প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে আগত হাজার হাজার পর্যটক এই জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের পর্যটন নগরিতে আসে। তারা সেলফি জোনে মা ইলিশ ভাষ্কর্যের প্রাঙ্গণে নানান স্টাইলে সেলফি তোলে ইলিশের বাড়ীর পরিচয় বহন করতে পারে। সেটিও ছিলো এই ইলিশ ভাষ্কর্যের অন্যতম একটি পরিকল্পনা।

১’লা মে শনিবার সরজমিনে ওই ইলিশ ভাষ্কর্যের কাছে গেলে দেখা যায়। শুধুমাত্র এসএস পাইপ দিয়ে এর চারদিকে বেস্টুনী দেয়া রয়েছে। পাশে একটি স্টান্ড লাইট দেওয়া রয়েছে। এছাড়া বাকি কোন সাজসজ্জা করা হয়নি।

এ ব্যপারে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইরফাত জামিল জানান, এই ইলিশ ভাষ্কর্যের নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছিলো আনুমানিক সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার কাজ করা হয়েছে। অন্যান্য যা পরিকল্পনা করা হয়েছে সে বিষয়ে কি করা যায়? সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তবে এ নিয়ে আর কোন বিলম্ব দেখতে রাজি নয় চাঁদপুরের সচেতনমহল। তারা কাল বিলম্ব না করে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার দাবী জানিয়েছেন।