বছর ঘুরে দুর্গতিনাশিনি আবার আসবে মর্তে তাই প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত শরণখোলার শিল্পীরা

আগামী (১৪ অক্টোবর) মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু হবে। এ কারণে সারাদেশের মতো বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছে কারিগররা। দুর্গোৎসবের প্রধান আর্কষণ প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে।

উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, পঞ্জিকা মতে আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু। তবে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠি পূজার ও ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর দেবী বিসর্জন এর মধ্য দিয়ে।এবছরের জন্য শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।

শরণখোলার ৪ টি ইউনিয়নে ২১ টি পুজা মন্ডপ রয়েছে। উপজেলার দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগররা বলেন, প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম যেমন খড়, সুতলী, পেরেক, বাঁশ ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের খরচ বেড়েছে। প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। কিন্তু এবার প্রতিমা তৈরির সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় পূজার আয়োজকরাও বেশি দামে প্রতিমা তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছে।

রায়েন্দা বাজার পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হরসিৎ কর্মকার বলেন, উপজেলার সবচেয়ে জাকজমক ব্যয়বহুল পূজা হয় রায়েন্দা বাজার কালিমন্দিরে।

গতবারের চেয়ে এবার জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পূজা উদযাপন করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
হরসিৎ কর্মকার আরও বলেন, দেবীর এবার আগমন ও গমন ঘোটকে (ঘোড়ায়) যার ফল ছত্রভঙ্গ অর্থাৎ পৃথিবী এবার অনেকটা অস্থির ও বিশৃঙ্খল থাকবে।

ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে সকল ধর্মের মানুষকে সাথে রেখে বিগত বছরের ন্যায় সুন্দর ভাবে পুজা উদযাপন করতে পারি সেই প্রত্যাশা রাখি। সবাই কে শারদীয় শুভেচ্ছা, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে শরণখোলাসহ দেশবাসির শুভ কামনা করি।