রংপুরে অসময়ে বৃষ্টি, ধুলো থেকে মিলবে স্বস্তি

রংপুরে অসময়ে বৃষ্টি, ধুলো থেকে মিলবে স্বস্তি
অসময়ে রংপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি রাত থেকে শুরু হয়েছে। তবে ভারি বেশি বৃষ্টি না হলেও রংপুর নগরীর সড়ক ধোয়া হয়েছে ঠিকই। আর এতেই স্বস্তি ফিরেছে নগরবাসীর।

ধুলোবালি দুর হয়েছে কয়েকদিনের জন্য। সেই সাথে দীর্ঘদিন পর নামা এ বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে প্রকৃতিতে। এই বৃষ্টি সতেজ করে তুলবে সবজি ক্ষেত ও গাছে গাছে নতুন পাতা গজানোর সময়টাকে।

রংপুর আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরকম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ২১ মার্চ পর্যন্ত থাকবে।
শীতের শেষে পবিত্র মাহে রমজান শুরুর পর থেকে ধীরে ধীরে বাড়ছিলো তাপমাত্রা। এই হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় সেই তাপমাত্রা অনেক কমেছে।

তাপমাত্রা নিয়ে খুব বেশি কষ্ট মনে না হলেও রংপুর নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসহ অলিগলিতে ধুলোবালি অস্বস্তিতে ফিলেছিলো নগরবাসীকে। বৃষ্টি হওয়ায় সেই ধুলোবালি আর থাকছে না। রুক্ষ প্রকৃতি হবে সতেজ এটি সবচেয়ে বেশি স্বস্তির বিষয়।

এদিকে রংপুর নগরীতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে অভিভাবকেরাও ছিলেন। বৃষ্টিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছে তারা। যদিও সাময়িক সমস্যা তৈরী করেছে, তারপরও এই বৃষ্টিকে স্বস্তিদায়ক বলছে নগরবাসী।
অন্যদিকে হঠাৎ বৃষ্টির কারনে বিপাকে পরেছে কর্মজীবি মানুষরা।

অনেকেই কাজ করতে পারেননি। কাজ থাকলেও বৃষ্টির কারনে অনেকে কাজে নেয়নি তাদের। আবার অনেককে বৃষ্টির মধ্যেই মাথায় পলিথিন বেধে কাজ করতে দেখা গেছে। সেই সাথে নগরীতে অন্যান্য দিনের মতো আজকে তেমন মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। যার ফলে দোকানপাটে বিক্রি নাই বললেই চলে। অনেকে দেরীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। সকাল থেকে তেমন ক্রেতা পাননি তারা্।

অন্যদিনের মতো সড়কেও তেমন যানজট দেখা যায়নি। রাস্তা প্রায় ফাকা। ফলে রিক্সা অটো কাঙ্খিত ভাড়া পাননি। তবে দুই একটা ভাড়া পেলেও বৃষ্টির অজুহাতে বেশি ভাড়া আদায় করেছে তারা।

অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু বলেন, অসময়ে বৃষ্টি হলেও নগরজীবনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। এই বৃষ্টির কারনে তাপমাত্রা যেমন কমেছে তেমনি ধুলোবালি শেষ হয়েছে। কমপক্ষে কয়েকদিন ধুলোবালি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

সুপার মার্কেটের আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির কারনে মার্কেটে একদম লোকজন নাই। বিক্রিও নাই। তবে দুই একদিন এরকম বৃষ্টি হলেও তেমন সমস্যা নাই।
রিক্সাচালক আব্দুল মান্নান জানান, সকালে বৃষ্টি তেমন ছিলো না দেখে বাইর হয়েছি। এখন বৃষ্টি পরছে। করার কিছু নাই। বৃষ্টির পানি খুব ঠান্ডা তারপরও পেটের দায়ে রিক্সা চালাতে হচ্ছে।

এ দিকে রংপুরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও ২১ মার্চের পর থেকে স্বাভাবিক হবে আবহাওয়া। তবে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

এই বৃষ্টি শুধু রংপুর নগরীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। পুরো রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এই বৃষ্টি হচ্ছে।