লালমনিরহাটের সেলুন লাইব্রেরির কর্মকাণ্ড ছড়িয়েছে দেশব্যাপী

লালমনিরহাটের স্বপ্নবাজ যুবক জামাল হোসেন। যিনি যুব সমাজকে বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করতে গড়ে তুলেছেন সেলুন লাইব্রেরি। জেলার আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর যুব ফোরামের উদ্যোগে এ সেলুন লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

সেলুনের দোকানে অলস সময় কাটানো গ্রাহকদের বই পড়ার প্রতি আকৃষ্ট করতেই জামালের এ সেলুন লাইব্রেরি। বিষয়টি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়। ফলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে।

জামাল হোসেনের সেলুন লাইব্রেরির আইডিয়াকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে দেশের ৬৪ জেলায় প্রতিষ্ঠা করেন এ সেলুন লাইব্রেরী। যে কারনে এবারের ভোলান্টিয়ার ডে তে জামাল হোসেনকে দেশ সেরা ভোলান্টিয়ার খ্যাতি দেয়া হয়।অর্জন করেন চেক, সন্মাননা ও ক্রেস্ট। সেলুন লাইব্রেরির পাশাপাশি যুব সমাজকে বই পড়ার দিকে আকৃষ্ট করতে জামাল গড়ে তোলেন যুব সমাজ পাঠাগার। আদর্শ সমাজ গঠনে বই পড়ার আন্দোলনকে বেগবান করতে, বাল্যবিয়ে রোধ ও মাদক নির্মুলে পাঠাগারটি ভূমিকা রাখছে। পাঠাগারের সদস্য নিরাময় কুমার বলেন, জামাল ভাই আমাদের এলাকার গর্ব। তিনি সবসময় এলাকার জন্য কিছু না কিছু করার চেষ্টা করেন। অপর সদস্য সজিব মিয়া বলেন, সারপুকুর যুব ফোরাম পাঠাগার সেলুন লাইব্রেরির কর্মকাণ্ডের কারনে দেশব্যাপী পরিচিত হয়েছে। এটা আমাদের সুনামের বিষয়।

স্থানীয় সেলুন ব্যবসায়ী সুকুমার শীল বলেন, সেলুন দোকানে কাজ করতে আসা গ্রাহকদের অলস সময় কাজে লাগাতে জামালের সেলুন লাইব্রেরি অলস সময় কাটাতে ও জ্ঞান অর্জনে ভূমিকা রাখছে।

সেলুন লাইব্রেরির স্বপ্নদৃষ্টা জামাল হোসেন বলেন, আমাদের বই বান্ধব প্রধানমন্ত্রী এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি যিনি লাল সবুজের এই স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন এবং এই যুব সমাজ একদিন এদেশের হাল ধরবেন ও বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে এবং জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বির্নিমানে সুন্দর, সুখী, সমৃদ্ধি বাংলাদেশের যে চিন্তা করেছেন প্রধানমন্ত্রী সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সেলুন লাইব্রেরিকে গুরুত্ব দিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে এ সেলুন লাইব্রেরি সারাদেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি জানাই কৃতজ্ঞতা।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- জিআর সারোয়ার বলেন, সারপুকুর যুব উন্নয়ন পাঠক ফোরামের নামে জামাল হোসেন সেলুন লাইব্রেরি গড়ে তুলেছেন। এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি দেশব্যাপী সমাদৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই লাইব্রেরির কর্মকাণ্ড দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। আমি নিজে গিয়ে এ লাইব্রেরির কর্মকাণ্ড দেখেছি। এ লাইব্রেরি সমাজ বির্নিমানে ভূমিকা রাখছে।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তাদের নিজস্ব জমিতে ভবন করতে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো সহযোগিতা করা হবে।