সুনামগঞ্জে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ দেওয়ার অভিযোগে সচিব বরখাস্ত ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় চিঠি

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রুহুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত রবিবার (২৯ অক্টোবর ) জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সচিবকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

বহিরাগতদের জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরির কাজে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবালের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
পাইকুরাটি ইউনিয়নে ৭০ জন বহিরা গত ও রোহিঙ্গা নাগরিকে টাকার বিনিময়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে বলে প্রমানিত হয়েছে।

ইউপি সচিব সাময়িক বরখাস্ত হওয়ায় পাইকুরাটি ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই ইউনিয়নের নাগরিক গন।
জন্মনিবন্ধনের কাজের সুবিধার্থে ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবাল এবং ইউপি সচিব রুহুল আমিন তাদের ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড (হস্তান্তরযোগ্য নয়) উদ্যোক্তা ঋতূকে সরবরাহ করেছিলেন। এই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে সচিব ও চেয়ারম্যানের দোষ ডাকার জন্য তরিগড়ি করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউপি সচিব রুহুল আমিন ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তার এবং চেয়ারম্যানের আইডি-পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে উদ্যোক্তা ঋতূ বহিরাগতদের জন্ম নিবন্ধন করে আসছে।

ইউএনও বিষয়টি তদন্ত শেষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে জানান।
তদন্ত করে দুষি ব্যাক্তিদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন উপপরিচালক।
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে ইউপি সচিব রুহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেবো। বিষয়টি আমি অবগত আছি।

বরখাস্তের বিষয়ে পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজ্জাম্মেল হক ইকবাল বলেন, এ বিষয়ে আমি এখানো চিঠি পাইনি। সচিব তো নিবন্ধন করতে জানে না, টাইপ জানে না, কম্পিউটার জানে না। বাইরে থেকে উদ্যোক্তারে দিয়া কাজ করাই । এ কাজে তার দক্ষতা নাই । এ তো বিপদগামী ছাড়া কিছু না ।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রহুলামিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইকবালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ মহোদয় লিখিতভাবে ফরোয়ার্ডিং এর চিঠি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।