পটুয়াখালী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার দুই

পটুয়াখালীর গলাচিপা এলাকায় চাকরির প্রলোভণ দেখিয়ে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার চর সুহরি এলাকার ইব্রাহিম দফাদারের বাসাবাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ পাবার পরপরই দুই ধর্ষক রিয়াজ হাওলাদার (২১) এবং রাব্বি গাজী (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ধর্ষণের শিকার এই কিশোরী আসামীদের পূর্ব পরিচিত। চাকরি পাবার নাম করে লঞ্চ যোগে ঢাকায় আসে। এরপর ঢাকায় পৌছনোর পর এই কিশোরী চাকরি না করার কথা জানিয়ে পুনরায় লঞ্চ যোগে পটুয়াখালী ফিরে আসেন। তারপরেই ধর্ষণের শিকার হন এই মেয়েটি।

তিনি আরও জানান, ধর্ষণের ঘটনার খবর তারা জানতে পেরে পটুয়াখালী থেকে আসামী রিয়াজ এবং রাব্বি গাজিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

এই কর্মকর্তা আরও জানান, ভিকটিমের বাবা বাদী গলাচিপা থানায় মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা শেষ করার কথা রয়েছে। এছাড়াও, আসামীদের আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার মেয়েটি কৌশলে জনৈক নিমাই চন্দ্র দাসের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার বিষয় জানায়। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ স্থানীয় লোকজন এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকে খবর দেয়।

গ্রেপ্তার রিয়াজ ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালির আমীর হোসেন হাওলাদারের ছেলে এবং রাব্বি গাজী ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালির আজীজ গাজীর ছেলে। তাদের দুজনের বাড়ি উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের আটখালী গ্রামে। রিয়াজ পেশায় মোটরসাইকেল চালক এবং রাব্বি গাজী রাজ মিস্ত্রির কাজ করেন।