বগুড়ার শিবগঞ্জে আলুর নকল ঔষুধে বাজার সয়লাব

বগুড়ার শিবগঞ্জে ঘন কুয়াশার কারণে লেইট ব্লাইট রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়া ও বাজারে নকল ঔষুধ জমিতে স্প্রে করায় আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় আলু চাষ নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা। এবার সারা উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছে উপজেলার কৃষকরা।

উপজেলার কৃষকেরা জানিয়েছে, ৭৫ শতাংশ আলুর জমি এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ৭৫ভাগ জমির মধ্যে ২০ভাগ জমির আলু একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ শৈত প্রবাহ বয়ে যাওয়ার কারণে ঘন কুয়াশায় জমির আলুর জমিতে লেইট ব্লাইট রোগের প্রাদুর্বাভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানীর ঔষুধ নিয়ে জমিতে একাধিকবার স্প্রে করেও কোন ফল না পেয়ে চিন্তায় পড়েছি।

আলীগ্রামের মাসুদ রানা ফেনিগ্রামের আব্দুল হামিদ, সাধুরিয়ার গাজিউল হক বলেন, আমরা বিশ্বাস করে দোকান থেকে বিভিন্ন কম্পানির ঔষধ কিনে জমিতে একাধিকবার স্প্রে করেছি। কিন্তু তাতেও কোন ফল পাচ্ছি না। আলু গাছে আগের তুলনায় লেইট বøাইট রোগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মনে করছি, বাজারের নকল ঔষুধের কারণে আমরা জমিতে একাধিক ঔষুধ স্প্রে করলেও কোন সুফল পাচ্ছিনা। অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য আমরা সাধারণ কৃষকরা বারবার প্রতারিত হচ্ছি।

এবিষয়ে সাংবাদিক বজলুর রহমান বলেন, আমি এবার দুই বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। নকল ঔষধের কারণে আমার জমির আলু নষ্ট হওয়ার উপক্রম। এদিকে আবার উপজেলা কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তদারকি না করার কারণে আলু চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল-মুজাহিদ সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে এই উপজেলার কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকদের আলু রক্ষার্থে বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। বাজারের নকল ঔষুধ ক্রয় করে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছেন বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু ঔষুধ কম কার্যকর বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

সে জন্য গুণগত মান পরীক্ষার জন্য ঔষুধের নমুনা ঢাকা কৃষি বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। কৃষকদের কৃষি বিষয়ে পরামর্শ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিসে হেল্প ডেক্স চালু করা হয়েছে। কৃষকরা ২৪ ঘন্টা পরামর্শ নিতে পারবেন।