বগুড়ার শিবগঞ্জে বীজতলা বাঁচাতে পলিথিন আবরণের ব্যবহার

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি প্রধান এলাকা হিসাবে পরিচিত। এ উপজেলার মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। কৃষি কাজ করে এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে।

গত কয়েক দিন যাবৎ শৈত প্রবাহের মানুষের জীবন জবুথবু হয়েছে পড়েছে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় এ উপজেলার কৃষির উপর বিরুপ প্রভাব পড়েছে। বগুড়ার শিবগঞ্জে ঘন কুয়াশায় ধানের বীজতলা রক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে পলিথিনের আবরণ।

এতে করে বীজতলার চারা নষ্ট হওয়া কিছুটা কমবে। এমন ধারণা কৃষকদের। বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ১৫/২০ ঘন্টা ঢেকে রেখে ধানের চারা বাঁচাতে কৃষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। ১ হাজার ৬২ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা রয়েছে। এর মধ্যে ৫ হেক্টর জমিতে ধানের বীজ তলায় এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।

কৃষকরা জানায়, ঘন কুয়াশা থাকায় এ উপজেলার ৫ হেক্টর জমির বীজতলায় ধানের চারায় কোল্ড ইঞ্জুরি নামে রোগ দেখা দিয়েছে। ফলে এই বীজতলার বোরোধানের চারা নষ্ট হওয়ায় উপক্রমও দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিহার, বুড়িগঞ্জ, আলীগ্রাম, উথলী, আমজানি, বনতেঘরী, শব্দলদিঘী ও পৌর এলাকার তেঘরীসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ধানের বীজতলায় পলিথিন বিছানো ও ধানের চারা হদুল বর্ণ ধারণ করেছে।

তেঘরী গ্রামের লুৎফর রহমান মুকুল, আলমগীর হোসেন, হেলিপোট এলাকার সাইদুল রহমান, রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের আসাদ মিয়া, আব্দুল মান্নান, দহিলা গ্রামের সাজু মিয়া বলেন, তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশার কারণে বীজতলায় ধানের বীজ নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ধানের চারাগুলো হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। আমরা বীজতলা রক্ষার জন্য পলিথিন দ্বারা বীজতলা ডেকে রেখে ধানের চারাগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করছি।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মুজাহিদ সরকার বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের বীজতলা রক্ষার জন্য ঘন কুয়াশা থেকে বাঁচাতে স্বচ্ছ পলিথিন দ্বারা ডেকে রাখা ও বীজতলায় রাতের বেলায় ২ ইি পানি রেখে দিয়ে সকালে পানি বের করে দিয়ে নতুন করে পানি দেওয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।