পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মিথ্যা হয়রানির প্রতিবাদে গৃহবধুর সংবাদ সম্মেলন

‘আমি এক অসহায় গৃহবধু, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমি সর্বশান্ত হয়ে পরেছি। ছেলে সন্তান নিয়ে বর্তমানে না খায়ে দিনাতিপাত করছি। আমি এই হয়রানি থেকে পরিত্রান চাই।’

সোমবার দুপুরে কলাপাড়া রিপোর্টাস ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন আবেদন জানান গৃহবধু মোসা. রুনা বেগম।

এসময় তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে রুনা বেগম বলেন, ২০১৮ সালে স্বামী মো.আমির হোসেন এর নামে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ ২০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ রুহুল আমিন’র চাকুরী রক্ষার স্বার্থে আসামী ধরিয়ে দেওয়ার জন্য টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। এমনকি মোঃ রুহুল আমিন এক লক্ষ টাকা নিয়া মাদক ব্যবসা করার প্রস্তাব দেয়। প্রতি মাসে দুটি করে আসামী ধরিয়ে দিতে বলে। এতে রাজী না হলে ক্ষিপ্ত হয়ে একের পর এক স্বামী আমির হোসেন এবং আমার নাবালক সন্তান রায়হানের নামে ৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, গত ২২ মে শনিবার সকালে টিয়াখালী ইউনিয়নের বাদুরতলী গ্রামের বাসিন্দা রুনার বসতঘরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের মো.মোস্তাফিজুর রহমান উপ-পরিদর্শক, মো.রুহুল আমিন সহকারী উপ-পরিদর্শক, সিপাহি, মো.জহিরুল ইসলাম সঞ্চয় কুমার সাহা, মো.আবুল হাসানসহ কর্মকর্তা কর্মচারী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ, কলাপাড়া, পটুয়াখালী সকলে মিলে একজোট হয়ে বাড়িতে গিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার স্বামীকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। এসময় আমি ও আমার ছেলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমাদেরও মারধর করে।

তিনি আরো বলেন, নির্যাতনের এক পর্যায় রুহুল আমিন ও সঞ্জয় সাহা আমার বসত ঘরে প্রবেশ করে স্টীলের ট্রাংকের মধ্যে থাকা পার্স ব্যাগ নিয়ে নেয়। এর মধ্যে থাকা নগদ ১৩ হাজার টাকা এবং উত্তরা ব্যাংক লিঃ এর একটি চেক বই নিয়ে নেয়। আমি অসহায় মহিলা আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ৬টি মিথ্যা মামলা দেওয়ায় আমি সর্বশান্ত হয়ে পরেছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি সংশ্লিস্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, মোসাঃ রুনা বেগমের অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।