ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গরুর লাম্পি স্কিন রোগে খামারীরা আতংকিত

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গরুর ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে আতংকে আছেন খামারি ও সাধারণ মানুষ, কোরবানির পশু নিয়ে চিন্তিত পশু সম্পদ বিভাগ। তবে আতংকিত না হয়ে সচেতন হতে সবাইকে অনুরোধ করছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। তারা বলছেন- লাম্পি স্কিন রোগ পশুর দেহ থেকে মানব দেহে ছড়ানোর ইতিহাস পাওয়া যায়নি। যে কারণে আক্রান্ত পশুকে সেবা যত্ন করলে মানবদেহে সংক্রমণের ভয় নেই। জানা যায়, লাম্পি স্কিন ডিজিজ সংক্ষেপে ‘এলএসডি’ গৌরীপুরে গবাদিপশু’র মাঝে মহামারি আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, তবে সমান তালে চলছে ভ্যাক্সিনেশন।

ইতোমধ্যে ১১ হাজার গরুকে স্বল্পমূল্যে টিকা দেয়া হয়েছে। রোগের মহামারি ঠেকাতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম কাজ করছে মাঠে। এরপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না লাম্পি স্কিন ডিজিজ। প্রতিদিন পশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে শত শত গরু-বাছুর।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, পূর্ণবয়স্ক গরুর চেয়ে গরুর বাছুর এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি কোরবানির ষাঁড় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে গৌরীপুরে। মশা ও মাছির মাধ্যমে লাম্পি স্কিন ডিজিজ দ্রুত ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত গরুর শরীরের ঘা হয়ে যাচ্ছে ও ফোসকা পড়ছে, পা ফুলে যাচ্ছে, গলাতে ঘা হচ্ছে। কিছু আক্রান্ত গরুর চামড়ার নিচে পচন ধরেছে। ফলে এ রোগে আক্রান্ত গরুর একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যে কারণে গরুর থাকার গোয়াল ঘর ও এর আশে পাশের পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।